মোঃ আরাফাত আলী: কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নে পানিয়া গ্রামের ফিরোজা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করে গালে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায় ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে। নিহত গৃহবধূ পানিয়া গ্রামের মৃত নেপাল গাজীর ছেলে বাবুর আলী গাজীর স্ত্রী ও শ্যামনগর উপজেলার মৃত দলিল কাগুচির মেয়ে।ফিরোজার ভাই ফয়জুল্ল্যাহ মামুন বলেন গত ১৫ বছর আগে তার বোনের সাথে বাবুর আলী বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছর যেতে না যেতেই মোটা অংকের যৌতুকের টাকা দাবীতে তার বোনকে নির্যাতন করতে থাকে বাবুর আলী ও তার পরিবারে সদস্যরা। এ নিয়ে বহুবার স্থানীয় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে নিরসন চেষ্টা করলেও তারা ব্যার্থ হয়। সর্বশেষ গত শনিবার যৌতুকের টাকার দাবীতে স্বামী বাবর আলী মারধর করে ফিরোজাকে বাড়ী থেকে বাহির করে দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে ওই দিন সকাল ১০ টার দিকে বাবার বাড়ীতে যেয়ে ভাইদের নিকট যৌতুকের টাকা চাইলে ২ দিনের মধ্যে বোনকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। বাবার বাড়ী থেকে দুপুর ২ টার দিকে খালি হাতে স্বামীর বাড়ীতে পৌছালে তার স্বামী তাকে বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে গালে বিকোথ্রিন ১০ ইসি বিষ ঢেলে দেয় বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা।স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার সেকেন্দার আলীর নিকট চিকিৎরত অবস্থায় ৩ সন্তানের জননী ফিরোজা খাতুন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। প্রতিবেদককে পারভীন খাতুন, শাহানার বেগম সহ প্রতিবেশীরা বলেন ফিরোজার মরদেহ রেখে তার পরিবারের সদস্যরা সকলে তাদের বাড়ী থেকে পলায়ন করেছে।শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দিলেও রাতে পুলিশ ঘটনা স্থলে না যেয়ে রবিবার সকালে ৯ টার দিকে থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন যেয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।নিহত ফিরোজার ভাই মামুন অভিযোগ করে বলেন উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন থানায় কোন অভিযোগ না দিয়ে মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তারপরও থানায় হত্যা মামলা না নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামালা নিয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন । এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফণীভুষণ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে ফিরোজার মাতা জানান যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় জামাই বাবুর আলী সহ পরিবারের সদস্যরা মিলে তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।