শ্যামনগর

নুরনগরে কপত কপতী আটক

By daily satkhira

May 13, 2018

পলাশ দেবনাথ নুরনগর : রবিবার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ত্রিমোহনী মোড়ে এক জোড়া কপত কপতী আটকের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায় নুরনগর ত্রিমোহনী মোড়ের নৈশ্য প্রহরীরা তাদের দায়িত্ব পালন করছিল হঠাৎ ভোর ৪টার দিকে এ্কটি মেয়ে ও ছেলে নুরনগর ত্রিমোহনী মোড়ে এসে শ্যামনগর যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে থাকে এসময় নৈশ্য প্রহরি সাহেব সরদার ও মোনহর তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয়। নৈশ্য প্রহরীদয় তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে ছেলেটি কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের সাতহালিয়া গ্রামের মোঃ আশরাফ হোসেন ছেলে সবুজ হোসেন(২৪) এবং মেয়েটি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ডাকুয়া গ্রামের ওয়াহেদ মুন্সির মেয়ে রেশমা আক্তার(২২) বলে পরিচয় দেয়। ঘটনার বিবরনে জানা যায় সবুজ হোসেন প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেম, পরে মোবাইল ফোনে মেয়ে কে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে। রেশমা আক্তার পটুয়াখালী থেকে গত ৬ই মে পটুয়াখালী-শ্যামনগরের বাসে করে শ্যামনগর এসে নেমে সবুজ হোসেন কে ফোন করলে সে শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের পাশের একটি মেসে নিয়ে যায় এবং নিজের বোন পরিচয় দিয়ে রেশমাকে রেখে আসে। কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গতকাল নুরনগরের মেনু গাজীর ছেলে বাসারের সহযোগীতায় তাদের দুজনকে দক্ষিন হাজীপুর দাউদ আলীর পরিত্যক্ত দোকান ঘরে রাত্র যাপনের ব্যবস্থা করে বলে জানা গেছে। রাত্র যাপন কালে মেয়েটিকে ধর্ষন করেছে বলে স্বীকার করেছে সবুজ হোসেন। মেয়েটি সাংবাদিকদের বলে সে আমাকে বিবাহ ও চাকরির কথা বলে কয়েকবার ধর্ষন করেছে। ভোরের দিকে তারা ধরা পড়ার পর নৈশ্য প্রহরীরা নুরনগর ত্রিমোহনী মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক পলাশ দেবনাথ কে খবর দিলে তিনি সহ এলাকার কয়েকজন মিলে তাদেরকে নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের সভাপতি জি এম হাবিবুর রহমান হবির কাছে হস্তান্তর করে। সভাপতি সাহেব বিষয়টি শ্যামনগর থানাকে অবহিত করলে এ এস আই ওহিদুজ্জামান ও এ এস আই কাশেম ঘটনা স্থলে আসেন এবং তাদেরকে থানায় নিয়ে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী উভয়ের পরিবার এবং ছেলে মেয়ের সম্মতিতে তাদের বিবাহের ভার প্রদান করেন নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের সভাপতি জি এম হাবিবুর রহমান হবির উপর। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত সভাপতির বাড়ীতে তাদের বিবাহের প্রস্তুতি চলছিল।