পলাশ দেবনাথ নুরনগর : কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরের নাটুয়ার বেড় গ্রামের বাসার সরদারের কন্যা মরিয়ম খাতুন (১৪) সাংবাদিক কে ডেকে বলেছে আমার পিতা আমার বিবাহ ঠিক করেছে, আমি বিবাহ করবো না, লেখা পড়া করবো। মরিয়ম খাতুন রামজীবনপুর দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী তার ক্লাশের রোল নং ৯ সে এক জন মেধাবী ছাত্রী বলে জানা গেছে। বিয়ের বয়স না হলেও পরিবারের চাপের মুখে তাকে বাধ্য করা হচ্ছে বলে এই প্রতিবেদক কে জানায়। সে আরও জানায় আমার পিতা সহ আমার চাচারা মিলে একই গ্রামের লুৎফার মল্লিকের ছেলে হাবিবুর রহমানের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে। মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে জোর করে বিয়ে দিলে সে আত্মহত্যা করবে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষার উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তার পরও চলছে বাল্য বিবাহ, মেধাবী অল্প বয়সের মেয়েদের বিবাহের মত অপরাধ মূলক কাজ। আজ একজন মরিয়ম অন্যায়ের প্রতিবাদ প্রতিস্থাপন করেছে। সমাজে এমন হাজারও মরিয়মকে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। ৯ম শ্রেণীর এই মেয়েটি বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হয়তো তার পরিবারের সদস্যদের কাছে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হবে কিন্তু সচেতন মহল ভাবছে এমন প্রতিবাদের ঝড় একবার উঠেছে, উঠতেই থাকবে। এবিষয় মরিয়মের পিতা বাসার সরদার ও তার ছোট ভাই আব্দুল গফ্ফারের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমার মেয়ে আমি বিয়ে দেব আপনি সাংবাদিক কি বিয়ে আটকাতে পারবেন? এক্ষুনে এলাকাবাসী বলছে বাল্য বিবাহের হাত থেকে কি মরিয়ম রক্ষ্য পাবে না? সচেতন মহল জরুরী প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।