মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে বরাবর নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রকাশ্যে গালমন্দ করে ছেঁটেও ফেলেছেন গোয়েন্দা প্রধান জেমস কোমিকে।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক টেলিফোন-সাক্ষাৎকারে তাকে অপদস্থ করার দায়ে ফের কাঠগড়ায় তুললেন কোমিকে। কোমির মতো ‘চক্রান্তকারী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের’ সংস্থার মাথায় বসিয়ে রাখার অভিযোগে বিঁধলেন এফবিআই’কে। একহাত নিলেন বিচারবিভাগকেও। তার কথায়, রুশ হস্তক্ষেপের মতো ভিত্তিহীন বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে ওদের অন্য বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
সাক্ষাৎকারের আগাগোড়া ট্রাম্প শুধু নিজের পিঠ চাপড়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ‘এ-প্লাস’ দিয়ে তার দাবি, প্রথম থেকেই মাথার উপর ভুয়ো অভিযোগের মেঘ। তবু এরই মধ্যে আমি যা-যা করেছি, এর আগে কেউ তা করেননি। কর সংস্কার থেকে শুরু করে, জঙ্গিদের শিক্ষা দেওয়া, কনজারভেটিভ বিচারপতি নিয়োগ ইত্যাদি ‘ভাল কাজের’ লম্বা তালিকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
রুশ-হস্তক্ষেপ তদন্তের দায়িত্ব এখন বিচারবিভাগের হাতে। ট্রাম্প এ দিন বুঝিয়ে দিলেন, এদেরও তিনি তেমন সুনজরে রাখছেন না। তার কথায়, যেভাবে ওরা আমার পিছনে লেগেছে, তাতে ওদের কাজকর্মে আর জড়াব না। এমন সিদ্ধান্ত আমার নেওয়ার কথা নয়, পরে হয়তো এটা বদলাতেও পারি। তবু বলে রাখলাম।
নিজের ভালো কাজের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে হালে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে তার আলোচনার প্রসঙ্গও টানেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা ভালোই চলছে। এখন দেখার তার কতটা ফলপ্রসূ হয়।
এ দিন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস প্রসঙ্গেও মুখ খোলে ট্রাম্প। অভিযোগ, স্টর্মির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। আর ভোটের আগে মুখ বন্ধ রাখতে ওই পর্ন তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন।
এতদিন প্রেসিডেন্ট দাবি করে আসছিলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। বললেন, স্টর্মির মতো ফালতু ব্যাপারটা কোহেনই সামলেছিলেন। তবে আমি তো এর মধ্যে কোনও ভুল দেখি না। প্রচার তহবিল থেকে সেই অর্থ খরচ করা হয়েছিল বলেও মনে করি না আমি।