কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে কোটি টাকার সরকারি রাস্তা ধ্বংস করেছে মতির ঘের

By Daily Satkhira

May 14, 2018

কালিগঞ্জ প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে আইনের নীতিমালা না মেনে প্রভাব খাঁটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কােটি টাকার সরকারি রাস্তা ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করছে এলাকায় শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত ইটের ভাটা মালিক ও ঘের ব্যবসায়ী মতিউর রহমান মতি (ভাটা মতি)। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, কালিগঞ্জ সার্কেল অফিস সংলগ্ন তালেব গাজীর মোড় থেকে পাউখালী ২ কিলোমিটার রাস্তাটি মতির ৩০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে। ওই রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ যানবহন চলাচল করে। জনবহুল রাস্তার যমুনার চর কালর্ভাটের পাশে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মতিউর রহমান মতি মাছ চাষের জন্য গভীর খনন করেছে। তবে ঘেরের আলাদা বাঁধ না থাকার কারনে রাস্তাটি ধস নেমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। যার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ ও ছোট-বড় যানবাহন চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় উজ্বল, শামীম সহ অনেকে জানান মতিউর রহমান মতি প্রভাবশালী হওয়ায় সে কাউকে তোয়াক্কা করে না এজন্য সে নিজের ইচ্ছামত সরকারী রাস্তাকে ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যাবহার করে দেশের অনেক বড় ক্ষতি করছে। এছাড়া খালেক নামের একজন পথচারী বলেন তাদের চলাচলের জন্য ওই রাস্তাটি ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই সরকার রাস্তাটি পিচ করে দিয়েছে মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য কিন্তু এই ঘেরের মালিকের কারনে রাস্তাটি ধস নেমে নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঘের মালিক মতিউর রহমান মতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১০ বছর আগে ৩০ বিঘা জমির মুল্য সমমানের টাকা দিয়ে নিজের অর্থায়নে ওই রাস্তা পিচের রোড করে দিয়েছিলেন। তবে খুব দ্রুত ঘেরের পাশের রাস্তাটি নিজের অর্থায়নে মেরামত করে দিবেন এবং ঘেরের আলাদা বাঁধ দিয়ে সরকারি রাস্তা বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করবেন না বলে তিনি জানান। সরকারী রাস্তাকে ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যাবহার করার ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবুল আলম বলেন রাস্তার পাশে ঘের করতে হলে সরকারি কিছু নিয়ম নীতি আছে। তবে মতি সাহেবকে অনেকবার বল্লেও উনি কোন প্রকার গুরত্ব দেননা। সে রাতের আধারে ২০ থেকে ২৫ টনের ট্রাক ওই রাস্তার পাশে রেখে ঘেরের মাছ লোড করে। যার কারণে রাস্তাটি আরও ভেঙে যাচ্ছে। তাকে আলাদা বাঁধ দেওয়ার জন্য বলতে বলতে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন তার টাকা থাকলেও কোন মান-সম্মান নেই বলে তিনি জানান। তার মৎস্য ঘেরের বাঁধ না থাকার কারণে সরকারি রাস্তার যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা অতি দ্রুত প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।