ফিচার

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

By Daily Satkhira

May 15, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপন হওয়ায় ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরতে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বদ্ধীপুর কলোনি এলাকায় এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। বদ্ধীপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি লুৎফার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সহ-সভাপতি তায়ফুল ইসলাম, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আহসান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছোট বাবু, শাহিন আলম, বিপ্লব, মিলন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের আরও একধাপ এগিয়ে গেল। আর এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নাম লিখিয়েছে সেইসব দেশের তালিকায়, যাদের স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করছে সর্বক্ষণ। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক। এই স্বপ্নযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এক দশক আগে। বাংলাদেশে টেলি যোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ২০০৮ সালে এ বিষয়ে একটি কমিটি করে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। এরপর নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের (আইটিইউ) কাছে ইলেক্ট্রনিক আবেদন দাখিলসহ প্রাথমিক ধাপ শেষ করে বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি সংস্থার সম্পৃত্ততায়, জনবল এবং বাজেট বরাদ্দে এগিয়ে চলে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এর ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে নেপাল, মিয়ানমার ও ভুটানের কাছে স্যাটেলাইট সেবা দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ইন্দোনেশিয়ার একদম উপরে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকরির নতুন ক্ষেত্র ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তরুণরাও স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য আগ্রহী হবে, যা হবে আগামীর জন্য একটি ভালো বিনিয়োগ। এখন যেহেতু আমাদের এরকম একটি স্যাটেলাইট লঞ্চ হয়েছে, একটা জব সেক্টর তৈরি হয়েছে এজন্য একটা ফিউচার আছে। এতে করে আগামীতে শিক্ষার্থীরা হয়ত আগ্রহী হবে। তিনি আরো বলেন, এই স্যাটেলাইট বাংলাদেশে সাথে অন্য দেশের বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখবে। ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) পদ্ধতিতে স্যাটেলাইট থেকে সিগনাল গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলেও সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিদ্যমান টেরেস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করা যাবে। আর এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। দেশীয় অর্থায়নে পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগকে আবারও এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। আর এজন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রবিউল ইসলাম।