সাতক্ষীরা

ফিংড়িতে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

By daily satkhira

May 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরের নেতৃত্বে খালের পার্শ্ববতী সংখ্যালঘু এক সদস্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের শিমুল বাড়িয়ায় এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েও তেমন কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। ওই সম্পত্তির মালিক শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত পরিমল ঘোষের ছেলে প্রদীপ কুমার বলেন, ওয়ারেশ সূত্রে তিনি শিমুল বাড়িয়া মৌজায় জে এল নং-৩০, এস এ খতিয়ান- ২১৬,২১৭ দাগ, ৪৮৪, ৮০৮ দুটি মোট ১ একর ৯ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হন। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘদিন ভোগদখলে থেকে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছিলেন। এদিকে এলাকার কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তি ওই রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে খাল খননের পায়তারা শুরু করে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন প্রদীপ কুমার ঘোষ। যার মামলা নং টি এস ৫৮/১৬। কিন্তু মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আদালতের তোয়াক্কা না করে ওই মহলটি অবৈধভাবে খাল খননের পায়তারা শুরু করে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গত ২২ এপ্রিল’১৮ তারিখে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এঘটনা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। এরপর ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান ঢালীর নেতৃত্বে ১৩ মে ইউনিয়নের কর্মসূচির কাজের আনুমানিক ৩৬০ জন শ্রমিক নিয়ে তড়িঘড়ি করে ওই রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী রাস্তা নির্মানের জন্য মাটি খালের মধ্যে থেকে নেওয়ার কথা থাকলেও মেম্বর মিজানের নেতৃত্বে ওই প্রদীপ ঘোষের রেকর্ডীয় চাষাবাদের জমির মাটি কেটে জমির আকৃতি নষ্ট করে। তিনি আরো জানান, ওই সম্পত্তি নিয়ে জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে ৮মে’১৮ তারিখে মামলা দায়ের করি। যার নং- পি ৭৭১/১৮। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারা জারি করেন। উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি থাকার পরও আইন ও আদালতের তোয়াক্কা না করে চেয়ারম্যান ও মেম্বর জোরপূর্বক সম্পত্তিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রদীপের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে সাংবাদিকদের সাথে মেম্বর মিজানুর রহমান কোন কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে প্রদীপ ঘোষ জেলা ভূমিহীন ঐক্য পরিষদের একজন সদস্য। তার রেকর্ডীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভূমিহীন এক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে এঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা ভূমিহীন ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ। এবিষয়ে ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুর রহমান বলেন, ওই সম্পত্তি খাস। তারপরও তার রেডর্কীয় বলে প্রদীপ ঘোষ অভিযোগ দিয়েছিলেন ইউএনও অফিসে। এরপর নায়েব সেখানে গিয়ে মাপ জরিপ করে রাস্তা করার অনুমতি দিয়েছেন। আর রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে যদি গিয়ে থাকে তাহলে মামলা করলে তো আমার জেল হবে। ওই সম্পত্তি খাস।