আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬১ ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এছাড়া রাশিয়া ও চীনও গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিন্দা জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে জাতিসংঘের নীরবতার কড়া সমালোচনা জানায় ফ্রান্স। চলমান উত্তেজনায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে গাজায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ইরান ও হামাসকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এ সংকটের একমাত্র সমাধান।
পরে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছে। দপ্তরের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল জেনেভায় বলেছেন, কেউ সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে বলে তাদের গুলি করে মারতে হবে? তবে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ব্যাপারে মুখ খোলেনি সৌদি আরব।
এরই মধ্যে ইসরায়েলে নিযুক্ত দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করেছে গুয়েতেমালা। মার্কিন দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার একদিন পর জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস উদ্বোধন করেছে গুয়েতেমালা।
জেরুজালেমে দূতাবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস উপস্থিত ছিলেন।
এর অাগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত সোমবার জেরুজালেমে দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও ড্রোন দিয়ে আগুনের গোলা ছুঁড়ে মারে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং দুই হাজার সাতশর বেশি মানুষ আহত হন।