স্পোর্টস ডেস্ক: কী দুর্দান্ত ফুটবল খেলেই না ১৯৯৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক ফ্রান্স। শিরোপা মঞ্চে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিনেদিন জিদানের সেই দুর্দান্ত শৈলী এখনো ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে গাঁথা। তার আগে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লিলিয়াম থুরামের জোড়া গোল। মাঠের খেলার এই গল্পগুলো সবারই জানা। কিন্তু মাঠের বাইরে দুর্দান্ত খেলাটা খেলেছিলেন ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার মিশেল প্লাতিনি। ফাইনালের আগে ব্রাজিলকে এড়ানোর জন্য বিশ্বকাপ গ্রুপিংয়ে চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক উয়েফা প্রেসিডেন্ট।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ব্রাজিল ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের আগেও রীতিমতো উড়ছিল। সেলেসাওদের সামনে তখন টানা বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। রোনালদো, রিভালদোদের মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর ভর করা ব্রাজিলের পক্ষেই সবার বাজি। এই ব্রাজিলকে ঠেকাবে কে? এ নিয়েই প্রতিপক্ষদের গবেষণা।
আয়োজক কমিটিতে থেকে এ ঝুঁকি নিতে চাননি প্লাতিনি। বর্তমানে নিষেধাজ্ঞায় থাকা এ সংগঠক গ্রুপিংয়ে এমন কৌশলই নিয়েছিলেন যে, কোনো রকম পা না হড়কালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে খেলতে হবে না ফ্রান্সকে। বিষয়টি এত দিন পরে এসে স্বীকার করেছেন সাবেক উয়েফা সভাপতি, ‘আমরা ছোট একটা কৌশল খাটিয়েছিলাম। এমনভাবে গ্রুপিং করেছিলাম যে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ফাইনালের আগে আর মুখোমুখি হবে না। আমরা স্বাগতিক দল, তাই সুবিধাটা কাজে লাগিয়েছিলাম।’ কেন এ কাজ করেছিলেন প্লাতিনি? চার বছরের জন্য ফুটবলে নিষিদ্ধ প্লাতিনির খুব সহজ উত্তর, ‘ছয় বছর ধরে বিশ্বকাপ আয়োজনে কাজ করার পর যদি এতটুকু চাতুরীও না করতে পারি, তাহলে আর কী করলাম! বিশ্বকাপের অন্য আয়োজকেরা এটা করে না বলে ভাবছেন?’
তবে ফ্রান্স ও ব্রাজিলকে যে ফাইনালে তুলেছিল প্লাতিনির চাতুরী, তা বলার কোনো সুযোগই নেই। কেননা নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষকে হারিয়েই তাদের জায়গা করে নিতে হয়েছে ফাইনালে। এর আগে নরওয়ে, স্কটল্যান্ড ও মরক্কোকে টপকে গ্রুপ ‘এ’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। আর গ্রুপ ‘সি’-তে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন হতে টপকাতে হয়েছে ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরবকে। সূত্র: প্রথমআলো