আশাশুনি

আশাশুনির ধাপুয়ার খাল উন্মুক্তকরণের দাবির প্রেক্ষিতে তদন্ত

By Daily Satkhira

May 20, 2018

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর মৌজায় ধাপুয়ার খাল জলমহাল উন্মুক্তকরনের দাবীর প্রেক্ষিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দরগাহপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার সরেজমিনে এ তদন্ত করেন। কপোতাক্ষ কৃষি বনায়ন ও নার্সারী সমবায় সমিতির সভাপতি আওছাফুর রহমান এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জলমহালটি ইজারা প্রদান না করে উন্মুক্ত রাখার আবেদন করেন। তদন্তকালে বাদী পক্ষ বলেন, খরিয়াটি, হোসেনপুর, শ্রীধরপুর, খাসবাগান, রামনগর, দরগাহপুর, সোনাই, তকিপুর, টেকাকাশিপুর, মোকাম খালি, তালবাড়িয়া সহ বিভিন্ন মৌজার হাজার হাজার বিঘা জমিতে ধান ও মাছ চাষ হয়ে থাকে। ধাপুয়ার খাল জলমহালটি আগেও অবমুক্ত ছিল, কিন্তু বর্তমানে ইজারা দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় এ এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। খাল ইজারা নিয়ে চিংড়ীচাষের জন্য বিভিন্ন স্থানে নেটপাটা ও বাঁধ দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র অবলম্বন এই খাল এর মাধ্যমে স্লুইস গেট দিয়ে নদীতে ফেলান হয়। কিন্তু ইজারা গ্রহিতারা খালে বাধ দেওয়ার কারনে সেটি চরম ভাবে বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাছাড়া ইজারা গ্রহিতারা তাদের সুবিধামত গেট ব্যবহার করার কারণে লোনা পানির প্রভাবে ধান চাষীরা খুবই অসুবিধায় পড়েন। বিবাদী শ্রীধরপুর মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি পঞ্চরাম গাইন বলেন, তারা ডিসিআর নিয়ে এই খালে মৎস্য চাষ করছেন বিগত ৩ বছর। এবছর ডিসিআর প্রাপ্তির আবেদন করেছেন। তারা খালে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন না। বরং সৈয়দপুর ট্রাস্ট ও কাদাকাটি বিল ফিসারিজ নামক জলমহাল ও খালে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। সেখানে পানি সরতে না পারায় বর্ষা মৌসুমে সমস্যা দেখা দেয়। পলি অপসারণ করলে এবং স্লুইস গেটের মুখে পানি নিস্কাশন নিশ্চিত করতে পারলে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। খাল/জলমহাল উন্মুক্ত করতে হলে ঐ দু’টি আগে উন্মুক্ত করা দরকার। সমিতির প্রাক্তন সদস্য শংকর, বিকাশ, তরুন, সঞ্জয়সহ আরো অনেকে বলেন, তারা প্রথম থেকে সমিতির সদস্য। অথচ তাদেরকে সমিতির নামে ডাকা খালে মৎস্য চাষের সাথে নেওয়া হয়না। তাদের অজান্তে গোপনে বেআইনী ভাবে সমিতির সদস্য পদ থেকে বাদ দিয়ে সভাপতি/সেক্রেটারী নিজেদের পছন্দের লোককে সদস্য করে পকেট কমিটির মাধ্যমে সমিতি চালাচ্ছে। তারা কখন কিভাবে সমিতি থেকে বাদ পড়লো তাদের জানানেই। তবে তাদেরকে সঠিক পন্থায় সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অন্যপক্ষ দাবী করেন। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার। সচেতন এলাকাবাসীর দাবী, এলাকাকে প্লাবন মুক্ত করতে, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ ও চাষের জমি প্লাবিত না হয় সে জন্য মোকাম খালী স্লুইস গেটের খালের পলি অপসারণ/খাল খনন, অবৈধ নেটপাটা ও বাঁধ অপসারণ এবং ধাপুয়ার খাল জলমহালসহ পয়ঃ নিস্কাশনে বাধা খাল/জলমহাল অবমুক্ত করা হোক।