আরাফাত আলী, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত বাছার মোল্ল্যার ছেলে ও শ্যামনগর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের কারনে মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়,বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হাজী মুজিবর রহমান। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় রবিউল ইসলাম সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে শ্যামনগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আর এই দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। শ্যামনগর উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিবাস বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আতœসাৎ করেছেন,ডিডি প্রাদর্শন করে তার অধিনস্থ ক্লাষ্টারের বিদ্যালয়ে তার সরবরাহকৃত নিন্ম মানের প্রাক-প্রাথমিক মালামাল ক্রয় বাধ্য করে অর্ধকোটি টাকা আতœসাৎ,অনুরুপ বিস্তিরিত শিক্ষাক্রম নামের পুস্তক সরবরাহ করে প্রচুর অর্থ আতœসাৎ একই ভাবে তার অধিনস্থ ক্লাষ্টারের বিদ্যালয়ের স্লীপ প্রকল্প তার ইচ্ছামত প্লান ও বাজেট তৈরি করে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ত্রিশ হাজার টাকা করে গ্রহন করে তার সরবরাহকৃত মালামাল নিতে বাধ্য করে কমিশন গ্রহনের অভিযোগ।এছাড়া প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে দেওয়া সহ পি,এস,সি পরিক্ষার যোগাযোগ করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের নিকট থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা আতœসাৎ করেছেন। এর সাথে সাথে তার বিভিন্ন দূর্নীতি মুলক কাজের সাথে এক মত পোষন না করলে সেই শিক্ষকের বিভাগীয় মামলা সহ বদলীর হুমকি প্রদর্শন করেছেন তিনি। অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষকের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহন করে বদলীর ও সুপারিশ করেছেন। এছাড়া তার অধিনস্থ শিক্ষকদের সাথে অশোভনীয় আচরন ও শোকেস করার হুমকি প্রদর্শন সহ তার অধিনস্থ কয়েক জন শিক্ষক দিয়ে কিছুদিন তার কালিগঞ্জে নির্মিত ভবনের দেখা শুনার কাজ করিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।এই অবৈধ টাকা দিয়ে তিনি কালিগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের পিছনে গড়ে তুলেছেন ৪ তলা বিশিষ্ট আলীসান বাড়ী উপজেলা বিভিন্ন স্থানে কেনা রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার জমি । তারপরও তার নিজস্ব নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে যার সভাপতি তার স্ত্রী রেশমা খাতুন ১৫ লক্ষাধিক টাকার ঝণ বিতরণ করা রয়েছে সদস্যদের মধ্যে। বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে অবগত নন তিনি। এছাড়া তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার বলেন তাকে হেয় ও প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ ২৭-১১-২০১৭ তারিখে ডাকযোগে অভিযোগ প্রেরণ করলেও আজও কোন তদন্ত হয়নি বলে জানান অভিযোগকারী মেহেরুন্নেছা জয়নাল আবেদীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুজিবুর রহমান। এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন গত ৩ মাস পুর্বে যোগদান করেছেন এজন্য তিনি এবিষয়ে অবগত নন। তবে তিনি বলেন অফিসে যদি এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন।