আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে প্রচণ্ড গরমে গত ৩ দিনে অন্তত ৬৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক নিউজ এজেন্সি রয়টার্স।
মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যম ও একটি সমাজকল্যাণ সংস্থার বরাত দিয়ে তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৪ড্রিগ্রি সেলসিয়াস (১১১ ফারেনহাইট) পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা বজায় থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের দাতব্য সংস্থা ঈদি ফাউন্ডেশনের পরিচালক ফয়সাল ঈদি জানান, “গত তিন দিনে ৬৫ জন মারা গেছেন। লাশগুলো আমাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মর্গে রাখা আছে। তারা হিট-স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার করাচির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রোজার মধ্যে নগরীর অধিকাংশ মানুষ রোজা থাকায় এবং দিনের বেলা পানি পান থেকে বিরত থাকায় বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের।
তবে সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব ফজলুল্লাহ পেচুহো গরমে কেউ মারা যায়নি দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ডন।
ডনে উদ্ধৃত বক্তব্যে পেচুহো বলেছেন, “মৃত্যু হিট-স্ট্রোকে না অন্য কোনো কারণে হয়েছে তা শুধু চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলোই বলতে পারে। করাচিতে হিট-স্ট্রোকে লোকজন মারা যাচ্ছেন, এসব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমি।”
তিনি এসব বললেও করাচিতে হিট-স্ট্রোকে মৃত্যুর বিভিন্ন প্রতিবেদন আসায় শঙ্কা বেড়েই চলছে। অনেকেই ২০১৫ সালের ঘটনার পুনারাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন; ওই বছরের গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে করাচিতে অন্তত ১৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল।