নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার সাতক্ষীরার কলারোয়া জি কে পাইলটসহ আরও ২৪টি বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারি করেছে। সোমবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এগুলো হচ্ছে- সিলেটের ছাতক বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের জামতৈল ধোপাকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ীর পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পাইলট মডেল হাইস্কুল, ভোলার বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন (এসজে) মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওগাঁর বদলগাছি মডেল হাইস্কুল, নেত্রকোনার শালদীঘা গোপাল গোপীনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার জাহাঙ্গীরপুর টিআমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পাইলট মডেল বিদ্যালয়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ কাসিম আলী মডেল উচ্চ কটিয়াদী পাইলট মডেল বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল নজরুল একাডেমি, নাটোরের বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা দামুরহুদা পাইলট হাইস্কুল, বগুড়ার কাহালু মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুরের রাজৈর গোপালগঞ্জ কেজেএস পাইলট মডেল ইন্সটিটিউশন, কুড়িগ্রামের রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জের পাগলা মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ জেকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার বানিয়াজান সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো শিক্ষক অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৩১৫টি উপজেলায় হাইস্কুল এবং ৩২১টি উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিভিন্ন দফায় ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ এবং ৩০৩টি হাইস্কুল জাতীয়করণের ব্যাপারে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।
দেশে বর্তমানে ৩৪৭টি সরকারি হাইস্কুল এবং ৩৩১টি কলেজ আছে। এর সঙ্গে নতুন ২৪টি যুক্ত হল।
এদিকে, ঐতিহ্যবাহী কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল সরকারি করার প্রজ্ঞাপনে যার পর নেই আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীসহ গোটা এলাকাবাসী। কলারোয়াবাসী সেই সাথে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ সংশ্লিষ্টদের। সোমবার বিকেলে স্কুলের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মঙ্গলবার ২২মে সকালে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিত হয়ে আনন্দ র্যালিতে অংশ নেয়ার আহবান জানানো হয় ।