জাতীয়

মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক কিছু পুলিশ আর রাজনীতিক

By Daily Satkhira

May 23, 2018

রাজনৈতিক নেতারা ‘অপবাদ’ বলে উড়িয়ে দেন ‘বদলিতে’ রেহাই পায় পুলিশ ৫ বছরে ৪০০ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ন্যাশনাল ডেস্ক: রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের কিছু প্রভাবশালী নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের মদদেই দেশের প্রতিটি এলাকায় মাদকের কারবার চলে। মাদকের আখড়া ও চিহ্নিত মাদক কারবারিদের কাছ থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের টাকা নেয় এসব সিন্ডিকেট। গোয়েন্দা তথ্য ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সারা দেশে দুই শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি মাদক কারবারে মদদ দিচ্ছেন।

প্রমাণ হাতে না পাওয়ার কারণে গণমাধ্যম এসব প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে না। গোয়েন্দা তালিকায় নাম আছে—এমন বরাতে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তাঁরা এসবকে ‘প্রতিপক্ষের অপবাদ’ বলে এড়িয়ে যান। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেই মাদক কারবারে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ বেশি। গোয়েন্দা, পুলিশ সদর দপ্তর ও স্থানীয় পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে পুলিশের চার শতাধিক কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় না। বদলি ছাড়া তেমন কোনো ‘শাস্তির’ মুখোমুখি হতে হয়নি অভিযুক্তদের।

গত ৪ মে বিশেষ অভিযান শুরুর পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩৮ জন নিহত হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত অভিযানে মারা গেছে ১১ জন।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিহত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী মণ্ডল ছিলেন উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাদকের কোনো চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে না। চুনোপুঁটিদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে না। এ যাবৎ দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র‌্যাব, সাংবাদিক—যাঁরাই মাদকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের ছাড় নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্য-প্রমাণ নাই।’

ঢাকায় কারবার চলে শেল্টারে

শীর্ষ ইয়াবার ডিলার ইশতিয়াকের আমিনবাজারের বাড়িতে ধরতে গত বছরের ২১ নভেম্বর অভিযান চালালেও তাকে ধরতে পারেনি মাদকদ্রব্য নিরয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। সেই অভিযানে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইশতিয়াকের বাড়িতে যেসব কাগজপত্র পেয়েছি তা দেখে অবাক হয়ে যাই। বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে তার যোগাযোগ। ইশতিয়াক তাঁদের কাছে গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিএনসি তাকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগও করে।

রূপনগরের ঝিলপাড় বস্তিতে কারবারি নজরুল ইসলাম নজুকে সহায়তা করার অভিযোগ আছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রজ্জব হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এই ‘অপবাদ’ দিচ্ছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নজুর আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাকে ধরতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সূত্র জানায়, রামপুরায় আগে মাদক বাণিজ্যের হোতা ছিলেন কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতা তপু। এখন মদদ দিচ্ছেন থানা যুবলীগ নেতা তানিম। মেরুল বাড্ডার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জয়নাল নিয়ন্ত্রণ করছেন একটি বড় সিন্ডিকেট।

মাদক কারবারিদের একটি তালিকায় নয়াপল্টনের ইফতেখার জামান জয়ের নাম আছে, যাকে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মদদ দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। লালবাগের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই মহসীন আজাদ এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গুলশানের ৪৩ নম্বর রোডসহ কয়েকটি এলাকায় অনুমোদনহীন বার চলছে এক মন্ত্রীর ছেলের নামে। সেখানে মদের পাশাপাশি ইয়াবা সেবনও চলে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইয়াবা তৈরির অভিযোগও ওঠে। খিলগাঁওয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ বাবু, সবুজবাগের রিপন বড়ুয়া এবং ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিমউদ্দিন বাবুর নাম কারবারি হিসেবে গোয়েন্দা তালিকায় আছে। কামরাঙ্গীর চরে ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রক নসু। তার ভগ্নিপতি কামরাঙ্গীর চরের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসম্পাদক সোনা মিয়া। ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনের ভাই নাদিম ইয়াবা ও হেরোইন কারবারি হিসেবে পরিচিত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেশের ৪৪ প্রতিষ্ঠানে ৪৬৯ জন মাদক কারবারির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ১৪ নেতার নাম আছে। লেদার টেকনোলজি কলেজকেন্দ্রিক কারবারে হাজারীবাগ থানা যুবলীগ সদস্য রাইসুল ইসলাম রবিনের নাম আছে সে তালিকায়। ধানমণ্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকেন্দ্রিক হোতা হিসেবে ধানমণ্ডি থানার ছাত্রলীগের সভাপতি হাওলাদার সুজাউদ্দিন তুহিনের নামও তালিকায় উঠে এসেছে। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীতে মাদক কারবার করছে একটি চক্র, যারা স্থানীয়ভাবে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।

অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর করা ইয়াবার গডফাদারদের তালিকায় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি ও তাঁর পাঁচ ভাইসহ কক্সবাজারের ৩৫ জনপ্রতিনিধির নাম আছে। বদির পিএস মং মং সেন, ভাগ্নে সাহেদুর রহমান নিপু, বেয়াই আকতার কামাল (মেম্বার) ও শাহেদ কামাল, মামা হায়দার আলী ও মামাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেলের নাম আছে সেসব তালিকায়। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ এবং তাঁর চার ছেলে শাহজাহান, ইলিয়াস, দিদারুল আলম ও মোস্তাক আহমদ ইয়াবা কারবারে জড়িত বলে অভিযোগ। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান, সাবরাং ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হক, সাবরাং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নূর হোসেন, লেঙ্গুর বিলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শামসুল আলম, নয়াপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদুর রহমান, সাবরাং ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন দানু, বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন, হ্নীলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হুদা, হ্নীলা লেদার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রাকিব আহমেদ, টেকনাফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর বশর নুরসাদ কারবারের নিয়ন্ত্রক।

কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাশেদ ও মাহবুব মোরশেদের নাম আছে ইয়াবা কারবারিদের তালিকায়। তালিকাভুক্ত কারবারি সৈয়দ হোসেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেনের ভাই।

ফেনীর বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন, বিএনপির সাবেক (সংরক্ষিত আসন) এমপি রেহানা আক্তার রানুর ভাইয়ের ছেলে ইসমাইল হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টার, আওয়ামী লীগ নেতা কমিশনার গিটার, ধর্মপুর ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ, ফুলগাজী থানা বিএনপি নেতা আবদুর রউফ ও তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে গোয়ন্দাদের কাছে।

উত্তরে ক্ষমতাধরদের প্রশ্রয়

পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নূরুজ্জামান, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলন, তেঁতুলিয়ার ভজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল পাশা, সাইদুর রহমান বাবলু, শ্রমিক দল নেতা মুক্তারুল ইসলাম মুকুসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা মাদকে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলেছেন। জেলার ১৮ পুলিশ সদস্যদের নামও দেখা যায় গোয়েন্দা তালিকায়, যাঁদের এরই মধ্যে বদলি করা হয়েছে। কুড়িগ্রামে মদদদাতা রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জাকির হোসেন, একই উপজেলার যুবলীগ সভাপতি হারুন-অর রশিদ, রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আলম ওরফে শফিউল আলম, চিলমারীর রমনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর-ই-এলাহী তুহিন, রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল, ফুলবাড়ী দাসিয়ারছড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেরা ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিএসসি। জেলার ৯ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও আছে সহায়তার অভিযোগ।

গাইবান্ধার পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে আছে গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বিহারী, বাদিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আতোয়ার রহমান, কূপতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, দরবস্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফারুক হোসেনসহ ২৭ জনপ্রতিনিধির নাম। একই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ১৩ পুলিশ সদস্যকেও সহযোগী উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি ২০ জন মাদক কারবারিকে মাদকবিরোধী শপথ পড়িয়েছেন।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারবারিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গোমস্তাপুর উপজেলার বাইরুল ইসলাম, ভোলাহাট উপজেলার মোজাম্মেল হক চুনু, নাচোল উপজেলার আবদুল কাদের এবং শিবগঞ্জ উপজেলার সরওয়ার জাহান সেরফানের নাম থাকলেও তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা সরকারদলীয় নেতাকর্মী। এ ছাড়া চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

‘রক্ষক ভক্ষক হওয়ার’ অসংখ্য নজির

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বছরে গড়ে এক শ পুলিশের বিরুদ্ধে মাদকে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেই মাদকে জড়িত থাকার অভিযোগ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের ২৩ জন। কক্সবাজারে মাদক কারবারে সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে টেকনাফ ও উখিয়া থানার ১৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের নাম আসার পর টেকনাফ থানার এসআই আলমগীর, এসআই সরোজ আচার্য, সামিউর রহমান, পিএসআই সাইদুল, এএসআই আযহার ও কনস্টেবল বারী, আমিরুল এবং থানার ওসি জহিরুল ইসলাম, এসআই রাজেশ বড়ুয়া, দিদার মিয়া, প্রবোদ দাশ, এএসআই হাসানকে বদলি করা হয়। গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রূপালী এলাকার বাসা থেকে পুলিশের এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি পুলিশ। আদালতে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরো পুলিশের জড়িত থাকার তথ্য মিলে।

ডিএনসি সূত্র জানায়, গত এক বছরে পুলিশের ৭২ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যাদের কয়েকজন মাদকে জড়িত ছিল। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘মাদকে জড়িত থাকলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের চেয়ে তাদের শাস্তি বেশি। কারণ অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।’

সূত্র: ২৩ মে, ২০১৮ কালের কণ্ঠ।