ভারতের কেরালায় নিপা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১০ ছাড়িয়েছে। কোঝিকোড়ের হাসপাতালে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছিলেন যিনি, সেই নার্সেরও মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ৯ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কোমায় চলে যাচ্ছেন রোগী। ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ফ্রুট ব্যাটস বা ফলখেকো বাদুড়দের থেকেই এই নিপা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তবে শুয়োর থেকেও ছড়ায় এই ভাইরাস। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত বাদুড়ের ছোঁয়া/কামড়ানো ফল যদি কেউ খান/ছোঁন, তা হলেই তিনি আক্রান্ত হবেন নিপা ভাইরাসে।
কেরালার সরকারি সূত্রের খবর, আপাতত দু’টি জেলা কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরমে ওই ভাইরাসের হানাদারির প্রমাণ মিললেও দ্রুত তা রাজ্যের একটি বড় অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু কোঝিকোড়েই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরমে অন্তত ৯৪ জন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৮ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন নিপা ভাইরাসে। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা জানিয়েছেন, কোঝিকোড়ের পেরাম্বারায় যে পরিবারের দুই ভাই ও তাদের এক নারী আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বাড়ির কুয়োতেই একটি মৃত বাদুড়ের সন্ধান মিলেছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অফিস থেকে এ দিন টুইট করে জানানো হয়েছে, ওই রোগের চিকিৎসার জন্য বহু চিকিৎসক স্বেচ্ছায় কাজ করতে রাজি হয়েছেন। এ ব্যাপারে কেরালার চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কাফিল খান। নিপায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইচ্ছুক রাজ্যের চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।