ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাগতিক রাশিয়াসহ মোট ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে। আগামী ১৪ জুন মাঠে গড়াচ্ছে জমকালো এই আসর। ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ শুরু হতে আর মাত্র বাকি ১৭ দিন। অন্যান্য দেশের মতো বাঙালিও মেতে উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনায়। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে হয়তো খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে না বাংলাদেশের কিন্তু লাল-সবুজের দল বাংলাদেশ না থেকেও থাকবে লিওনেল মেসি, মেসুত ওজিল, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের সঙ্গে। বিশ্বের এই সেরা ফুটবলাররা পরবেন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা জ্যাকেট।
রাশিয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশে তৈরি জ্যাকেট পরবেন বিশ্বের নামী ফুটবলাররা। এই জ্যাকেট তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের কেইপিজেডের ইয়াংওয়ানের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শু ইন্ডাস্ট্রিজের একটি কারখানায়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতেই তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া দলের অফিশিয়াল জ্যাকেট। এই দেশগুলোর জ্যাকেট, জার্সিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরবারহ করেছে খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। তবে বাংলাদেশ শুধুমাত্র জ্যাকেট তৈরি করে দিয়েছে অ্যাডিডাসকে।
এ ব্যাপারে দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে অ্যাডিডাস বাংলাদেশের মার্চেন্ডাইজার ব্যবস্থাপক এ এস এম রিফাত হক বলেন, অ্যাডিডাস আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া দলের অফিশিয়াল স্পনসর। সে সুবাদে বাংলাদেশে এই দলগুলোর কিছু জ্যাকেট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া জার্সি, মোজাসহ অন্যান্য সামগ্রী অন্যান্য দেশে তৈরি হয়েছে। অফিশিয়াল এই জ্যাকেট পরেই খেলার সময় সাইড বেঞ্চে থাকবেন ফুটবলার ও কর্মকর্তারা।
এসব জ্যাকেটের কলারের নিচে যে ট্যাগ লাগানো রয়েছে তার মধ্যে লিখা আছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। গত বছরের আগস্ট থেকে এই পোশাক তৈরি শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব পোশাকের জাহাজীকরণ শেষ হয়। অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে এসব কাজ করা হয়।
এই জ্যাকেটগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মান দলের জ্যাকেটের বাঁ পাশে চারটি তারকাচিহ্ন ও দুবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের জ্যাকেটের বাঁ পাশে দুটি তারকাচিহ্ন রয়েছে। একটি তারকাচিহ্ন রয়েছে স্পেনের জ্যাকেটেও।
দলগুলোর কাছে পৌঁছানোর আগে যেন এসব জ্যাকেট বাজারে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রমিক থেকে শুরু করে কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে বিশ্বকাপের দলগুলোর পোশাক তৈরি করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটি খুব উচ্ছ্বাসিত।
কর্ণফুলী শু ইন্ডাস্ট্রিজের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নেই। তবে বিশ্বকাপের অনেক ফুটবল দল এখানকার তৈরি পোশাক পরবে, সেটা অনেক গর্বের। ওই পোশাক আমাদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। আমাদের শ্রমিকেরাও যখন সেটা দেখবেন, তখন তাঁদেরও ভালো লাগবে।’