খুলনা

পাইকগাছায় ঔষধ ব্যবসায়ীরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ

By daily satkhira

November 21, 2016

পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় ঔষধ ব্যবসায়ীরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। দেখার কেহ নেই?। কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা। জানাগেছে, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রয়কারীরা স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বৈধ কাগজপত্র রয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ীর। ১০ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার হাট বাজার গুলোতে যত্রতত্র ঔষধের দোকান (ফার্মেসী) গড়ে উঠলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের ড্রাগ লাইসেন্স, হাল সনের ট্রেড লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ সনদ নাই বলে সুত্র জানিয়েছে। আবার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত করলেও কর্তৃপক্ষ তদারকী না করার কারণে অনেকের লাইসেন্স থাকলেও সময়মত নবায়ন করছে না। অনেক দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যের নিকট থেকে লাইসেন্স ক্রয় করলেও নিয়মমাফিক মোকাম ও মালিকের নাম পরিবর্তন হয়নি। এমনকি ঔষধের দোকানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতা মূলক হলেও অনেক দোকানে ফার্মাসিস্ট নাই। যার কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব। জরুরিভাবে ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকদের কিছু ঔষধ থাকার সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু গ্রাম্য ডাক্তার এবং ক্লিনিক মালিকরা এসব নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে দেদারসে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ঔষধের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ সকল গ্রাম্য ডাক্তাররা সরকার নিষিদ্ধ কোম্পানীর এবং নিম্নমানের ঔষধ কম দামে ক্রয় করে প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) করে প্রকাশ্যে বাজার মূল্যে বিক্রয় করছেন অভিযোগ রয়েছে। যাহা ঐ ডাক্তারের ঘরে ছাড়া পাওয়া দূরহ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট সমিতি পাইকগাছা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ীর ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ সনদ, লাইসেন্স নবায়ন ও ক্রয়কৃত লাইসেন্স এর নাম পরিবর্তন করা নাই বলে শুনেছি তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির মাধ্যমে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির পাইকগাছা শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যদি কোন ডাক্তার বিচ্ছিন্নভবে নকল, ভেজাল, নিষিদ্ধ ঔষধ বিক্রি করে তার দ্বায়-দায়িত্ব তাকে নিতে হবে, সমিতি তার দায়িত্ব বহন করবে না। সঠিক তথ্য নির্ণয়ের জন্য এবং বৈধ ব্যবসার স্বার্থে অতিশীঘ্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।