অনলাইন ডেস্ক: সরকারের মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে মন্ত্রীদের কাজকর্মের হিসেব নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিবরণী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তাঁদের মন্ত্রণালয়ের সাফল্যগুলো অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সরকারের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ব্যর্থতা খতিয়ে দেখার পরই প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি কিভাবে সাজাবেন নির্বাচনকালীন সরকার। আগামী চার মাসের মধ্যে এই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কেবল নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের লক্ষে নয়। আগামী নির্বাচনের প্রচারনায় সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরার জন্যেও মন্ত্রণালয়ের সাফল্যগুলো ব্যবহার করা হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এই তিন নির্দেশনার আলোকে কাজ করছে আওয়ামী লীগ এবং সরকার।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রথম নির্দেশনা হল, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মীমাংসা। আওয়ামী লীগের নিজস্ব গবেষণা টিমের জরীপে জানা গেছে অন্তত ১৫০ আসনে আওয়ামী লীগ কোন্দলে জর্জরিত। প্রধানমন্ত্রী দলীয় কোন্দল মেটাতে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। ঈদের পর থেকেই কোন্দল প্রবল এলাকার নেতৃবৃন্দদের সংগে পর্যায়ক্রমে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কাজ শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় নির্দেশনা হলো সরকারের বিগত ১০ বছরের সাফল্য এবং উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগনের কাছে তুলে ধরা। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, স্থানীও পর্যায় এমপিরা যেসব উন্নয়ন করেছেন তাঁর বিবরণী তুলে ধরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সারাদেশে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় নির্দেশনা হলো, সমাজের ক্ষতগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, জঙ্গিবাদ দমন করেছি এখন মাদক মুক্ত বাংলাদেশ করবো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের সূত্রে জানা গেছে, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। এব্যাপারে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন। সংশিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, মাদকের পর আওয়ামী লীগ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে জোর দেবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন ‘ মাদকের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।’ এব্যাপারে দুনীর্তি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দলমত বাছ বিচার না করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, এই তিন নির্দেশনার আলোকে কাজ করলে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার।