ন্যাশনাল ডেস্ক: শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা মওকুফ করে রাষ্ট্রপতি তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অত্যন্ত গোপনে কারামুক্ত হয়ে জোসেফ ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলেও খবর বেরিয়েছে।
তবে তার অবস্থান সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য জানাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (৩০ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
জোসেফ এখন কোথায়? এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জোসেফের যে প্রসঙ্গটা.., তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি অলরেডি ২০ বছর কারাভোগ করেছেন। ২০ বছর কারাভোগের পরই তিনি ডিউ প্রসেসে, যেভাবে প্রসেস হয় সেভাবে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনটি রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত যাচ্ছে।
একজন সাংবাদিক বলেন, জোসেফ ভারতে চলে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ইন্ডিয়াতে চলে গেছে আপনি দেখেছেন নাকি? ওই সাংবাদিক তখন বলেন, আমি দেখিনি।
সাংবাদিকেরা আরও স্পষ্ট করে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (জোসেফ) আবেদন করেছিলেন ভয়ানক অসুস্থ, এক বছর না দেড় বছর বাকি ছিল (সাজা), এক বছর কয়েক মাস। সেটার জন্য তিনি মার্সি পিটিশন করেছিলেন, সেই মার্সি পিটিশন খুব সম্ভব রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন, এক বছর কয়েক দিন, তার কিছু অর্থদণ্ডও ছিল। সেগুলো আদায় সাপেক্ষে তাকে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা করার পারমিশন দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এটুকু আমি জানি, এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জোসেফ। সেখান থেকেই মুক্তি পান বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
১৯৯৯ সালের একটি হত্যাকাণ্ডে জোসেফের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, হাইকোর্টও এ রায় বহাল রাখেন। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। এখনো সেই সাজা ভোগ করা বাকি আছে প্রায় ২০ বছর। তার সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ ছিল ২০৩৯ সালের ২৪ জানুয়ারি।