পায়ের গন্ধের কারণে কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ সর্বত্র অনেকেই অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পরতে হয়৷ পা-ঢাকা জুতো পরে কিছু বিশেষ জায়গায় যেতেই হয় অনেককেই৷ আর সেখানেই বাঁধে সমস্যা৷ এই জুতোর গন্ধে অনেকেই কাছে ঘেঁসে না৷ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি লজ্জারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ মূলত যাদের পা ঘামে, তাদেরই বেশি এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়৷ কিন্তু এর থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন সহজেই৷ আসুন জেনে নেই পায়ের গন্ধ দূর করতে দেখে নিন তার কিছু কৌশল –
১. পা পরিষ্কার রাখুন: প্রতিদিন একাধিকবার পা ধুয়ে নিন। সাবান-পানি দিয়ে ধোয়াই ভালো। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ হলে আরও ভালো। হালকা গরমপানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে। লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে সে পানিতে কয়েক মিনিট পা ভিজিয়ে রাখলে লেবুর রসের এসিড জীবাণু নষ্ট করবে।
২. টি ব্যাগ ব্যবহার: পায়ের পাতায় ঘাম হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চা-পাতা ব্যবহার করতে পারেন। ফুটানো চা-পাতা দিয়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট করে পা ভিজিয়ে রাখুন৷ এতে পা ঘামার পরিমাণ কমে যাবে। ফুটানো চা-পাতার অ্যাসিড জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে এবং পায়ের খোলা লোমকূপগুলিকে বন্ধ করে দেয়।
৩. সুতি মোজা পরুন: জুতো পরার সময় অবশ্যই সুতি মোজা ব্যবহার করুন। কারণ পাতলা সুতির মোজা পায়ের সঙ্গে আটকে থাকে এবং তা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়ক। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। সিনথেটিকের বা উলের মোজাও ঘাম-রোধক৷ তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করা উচিত নয়৷ প্রতিদিন অন্তত একবার মোজা পরিবর্তন করতে হবে।
৪. জুতো পরিবর্তন: একই জুতা প্রতিদিন পরলে জুতায় লেগে থাকা ঘাম শুকনোর সময় পায় না। সেই জুতোই আবার পরলে জীবাণু বাসা বাঁধে পায়ে। তার থেকেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখুন। একদিন এক জোড়া পরলে অন্যদিন অন্যজোড়া জুতো পরুন।
৫. জীবাণুনাশক ব্যবহার: প্রতিদিন একবার অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল ফুট স্প্রে ব্যবহার করলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা কমবে। স্প্রে করতে না চাইলে অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। পায়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল স্প্রে করে বা পাউডার দিয়ে তারপরে মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ে জীবাণুর বিস্তার কম হয়। ফলে দুর্গন্ধও হয় না।
৬. পায়ের পাতা শুকান: যতটা সম্ভব পায়ের পাতা খোলা হাওয়ায় রাখুন৷ তাই সময় পেলে অফিসে কাজের ফাঁকে বা গাড়িতে যাওয়ার সময় জুতা খুলে রাখতে পারেন৷ এতে পায়ের পাতা অক্সিজেনের সংস্পর্শে থাকে যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই দুর্গন্ধও হয় না।