খেলার খবর: দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রাশিদ খান, মুজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ নাবির স্পিন ঘূর্ণির কাছে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করেছেন সাকিবরা। ফলে মাত্র ১৬৮ রানের টার্গেটও লড়াই করে তাড়া করতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম বলেই আফগানিস্তানকে ব্রেক থ্রো এনে দেন মুজিবুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে তামিম। এরপর সাকিবকে ক্যাচে পরিণত করেন মোহাম্মদ নাবি। লিটন দাসও কাবু হয়েছেন নাবির স্পিনেই।
আর রাশিদ খান তো তার চমক দেখিয়েই চলেছেন। বল হাতে নিয়েই মুশফিককে বোল্ড করলেন। পরের বলেই তুলে নিলেন সাব্বিরের উইকেটও। নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট শূন্য থাকলেও তৃতীয় ওভারে ফিরিয়েছন মোসাদ্দেককে। ততক্ষণে বাংলাদেশের পরাজয়টা শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধান হয়েই থাকল। আফগানদের এমন স্পিন ঘূর্ণিতেই কাবু হয়েছে টাইগাররা।
তবে শেষ দিকে ঝলক দেখিয়েছেন শাপুর জাদরান। ১৮তম ওভারে একে একে তুলে নেন আবুল হাসান রাজু, মাহমুদুল্লাহ ও রুবেল হোসেনের উইকেট। সবমিলিয়ে ১২২ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন লিটন দাস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে। মুশফিক ২০, সাকিব ১৫ ও মোসাদ্দেক ১৪ রান করেন।
এর আগে দেরাদুনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। দুই ওপেনারের দারুণ শুরুর পর মিডল অর্ডারে সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও শফিকুল্লাহ করলেন ঝড়ো ব্যাটিং। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ১৬৭ রান। দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ওসমান গনি ৮.৩ ওভারে ৬২ রান যোগ করেন। রুবেল হোসেন শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙেন। ২৬ রান করা গনিকে ফেরান পরিষ্কার বোল্ড করেন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া শাহজাদকে ফেরান সাকিব। ৪০ রান করেন এই ওপেনার। এরপর মাহমুদউল্লাহর জোড়া আঘাতে চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। ১৪তম ওভারে বল করতে এসে তুলে নেন নাজিবুল্লাহ জাদরান (২) ও মোহাম্মদ নবীকে (০)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে আফগানরা।