খেলার খবর: বিশ্বকাপ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে আরও বছরখানেক আগে থেকেই। পৃথিবী জুড়ে ফুটবল অনুরাগী কোটি কোটি মানুষ প্রতিটি দিন গুণে গুণে পার করছেন। এইতো আর মাত্র ছ’মাস, এইতো আর মাত্র ৪৫ দিন, এই তো আর মাত্র এক মাস। প্রতিদিন যেখানেই যাক না কেন ফুটবলপাগল মানুষ দিনগুলো অধীর অপেক্ষায় কাটাচ্ছেন।
অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। দুয়ারে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ। আর মাত্র ৯ দিন বাকি। তবে এই বিশ্বকাপ এলেই অনেকের মনে উঁকি দেয় নানা তথ্য-উপাত্ত। অনেকেই জানতে চায়- ফুটবল ইতিহাসের বিভিন্ন টুকিটাকি।
বিশ্বকাপ ফুটবলের সেরকমই কিছু জানা অজানা তথ্য আজ তুলে ধরা হয়েছে বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য।
১. ১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হলেও এবারই প্রথম রাশিয়ায় বসছে বিশ্বকাপের আসর।
২. চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উতরাতে পারেনি।
৩. অবাক করার মতো বিষয় হলো- যে কোচের অধীনে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে সৌদি আরব সেই দেশটিই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পর দুজন কোচ বাতিল করেছে।
৪. পাঁচবারের বিশ্বসেরা ব্রাজিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে। যার মধ্যে গোটা বিশ্বে পেলে একমাত্র খেলোয়াড় যিনি তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন।
৫. মাত্র চারটি দল এক বিশ্বকাপের সব ম্যাচ জিতেছে। উরুগুয়ে (১৯৩০, ৪টি ম্যাচ), ইতালি (১৯৩৮, ৪টি ম্যাচ), ব্রাজিল (১৯৭০, ৬টি ম্যাচ ও ২০০২, ৭টি ম্যাচ)।
৬. বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করেছেন রাশিয়ার ওলেগ সালেনকোর। যেটি তিনি করেছিলেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে।
৭. ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সামনে সে সুযোগ ছিল। কিন্তু সেমিফাইনালে জার্মানদের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় সেলেসাওদের। তবে এখন পর্যন্ত স্বাগতিক দেশ হিসেবে ৬টি দল বিশ্বকাপ জিতেছে।
৮. বিশ্বকাপে অন্তত ১০ গোল করেছেন সাত জন খেলোয়াড়। সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড। ১৯৮২ সালে এল সালভাদরের বিপক্ষে ৫৯ থেকে ৭৬ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেছিলেন হাঙ্গেরির লাস্লো কিস।
৯. গত ৮৪ বছরে অনুষ্ঠিত মোট ২০টি বিশ্বকাপ ভাগাভাগি করে নিয়েছে ৮টি দেশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্রাজিল (৫ বার)।
১০. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়টি এসেছিল ১৯৮২ বিশ্বকাপে। সেবার এল সালভাদরকে ১০-১ গোলে হারিয়েছিল হাঙ্গেরি।
১১. এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে ১০টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
১২. ২০০২ সালে তরুণ তুর্কি মালিক হাকান সুকুর বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম গোলটি করেছিলেন। যিনি কিনা ম্যাচ শুরুর ১১ সেকেন্ডেই দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন।
১৩. রাশিয়ার ১১টি শহরের ১২টি স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। এর মধ্যে রাজধানী মস্কোতে দুটি স্টেডিয়াম।
১৪. এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল ফ্রান্সের জাঁ ফন্টেইন।
১৫. বিশ্বকাপে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে স্পেন ড্র করেনি।
১৬. এবার রাশিয়ায় নিজেদের ১৫তম বিশ্বকাপে অংশ নেবে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স।
১৭. বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরোস্লাভ ক্লোসা (১৬টি)। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইলে গোল করে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোর বিশ্বকাপে ১৫ গোলের রেকর্ডটি ভেঙে দেন ক্লোসা।
১৮. বিশ্বকাপে টানা ১৭ ম্যাচ হারের কলঙ্কিত রেকর্ডটি বুলগেরিয়ার দখলে। তারা ১৯৬২ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত টানা ১৭ ম্যাচ জয় পায়নি।
১৯. এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট ১৮টি ম্যাচ খেলা কলম্বিয়া প্রত্যেক ম্যাচেই একটি হলেও গোল পেয়েছে।
২০. ২০১০ সালে বিশ্বকাপের ১৯তম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। স্বাগতিক দল হিসেবে তারাই শুধুমাত্র দ্বিতীয় পর্ব খেলেতে পারেনি।
২১. বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে জার্মানি (২০)। সবচেয়ে কম জয় উরুগুয়ের (২০)।
২২. একমাত্র দল ব্রাজিল যারা কোন বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব থেকে বাদ পড়েনি। সবগুলো বিশ্বকাপেই অংশ নিয়েছে ব্রাজিল।
২৩. সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টনি মিওলা (১৯৯০, প্রতিপক্ষ চেকোস্লোভাকিয়া)।
২৪. ফাইনাল না খেলে এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ফ্রান্সের (১৯৫৮)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে গ্রুপ পর্ব পার হতে না পারার রেকর্ড স্কটল্যান্ডের।
২৫. বিশ্বকাপে অংশ নেয়া সব দল এখনও শেষ চারে খেলতে পারেনি।
২৬. লাতিনের দেশ হিসেবে তুলনামূলক বেশিবার বিশ্বকাপ খেলেও সবচেয়ে বেশি হার মেক্সিকোর।
২৭. বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় অস্ট্রেলিয়ার। আমেরিকান সামোয়াকে ২০০১ সালে ৩১-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল দলটি।
২৮. বিশ্বকাপে ডেনমার্ক যত গোল করেছে সবগুলোই ডি-বক্সের ভেতর থেকে।
২৯. ২০০৬ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল।
৩০. পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতলেও কলঙ্কটাও ব্রাজিলের গায়েই বেশি। কারণ, এখন পর্যন্ত সবগুলো বিশ্বকাপ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১১টি লাল কার্ড পেয়েছে ব্রাজিল, যেখানে আর্জেন্টিনার লাল কার্ডের সংখ্যা ১০।
৩১. ২৬তম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০৩৮ সালে। সেটি হবে বর্তমান ট্রফিতে শেষ বিশ্বকাপ। এর পর ২০৪২ বিশ্বকাপ থেকে ট্রফিতে বিজয়ী দলের নাম লেখা থাকবে না।