আরাফাত আলী : কালিগঞ্জে অসাধু ব্যবসায়ীরা এখনও থেমে নেই বাগদা চিংড়িতে বিষাক্ত জেলী, সাবুর দানা, ভাতের মাড়সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ থেকে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে অসাধু ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা সহ প্রকাশ করার পরও অজ্ঞাত কারনে আজও কোন প্রতিকার হয়নি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অসাধু চিংড়ি পুশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহনের কথা সাংবাদিকদের জানালেও আজও পর্যন্ত এই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি তিনি। উল্লেখ্য যে,অসাধু ব্যবসায়ী,ডিপোমালিকদের বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার ফলে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ির মান হ্রাস পেতে বসেছে। যার ফলে যথার্থ মুল্য না পাওয়ায় বাগদা চিংড়ি চাষীরা অনীহা প্রকাশ করছে। সরেজমিনে যেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রাম সহ কয়েকটি বাগদা ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে গেলে ধরা পড়ে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার দৃশ্য। এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত বন্দকাটি গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে আক্তার আলী ও তার সহোদর মোক্তার আলী, গফ্ফার গাজীর ছেলে রাজু,কপিল গাজীর ছেলে মফিজুল,মান্নান গাজীর ছেলে মাছুম,আশরাফ মোড়লের ছেলে আলমগীর,বাঁশতলা বাজারের জহুর গাজী, নৌবাজপুর গ্রামের জয়নাল গাজীর ছেলে রবিউল,আব্দুর ছত্তার গাজীর ছেলে মোক্তার,একই এলাকার আয়তুল্ল্যাহ,মোবারক। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে মুনসুর,মনো মোড়লের ছেলে আনছার,আব্দুর রহিম,আহার গাজীর ছেলে রফি,আমিরুল,মুছা গাজী,সাঈদ গাজী,রবিউল সহ সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজার সহ বিভিন্ন এজেন্টদের নিকট পুশকৃত বাগদা চিংড়ি বিক্রয় করেন। এই অপদ্রব্য পুশ করার ফলে বাগদা চিংড়ি অল্প দিনের ভিতরে পোঁকা ধরে যায়। যার ফলে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির চাহিদা বিশ্ব বাজারে হ্রাস পেতে বসেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট পুশ করার কারন জানতে চাইলে বলেন অধিক মুনাফার জন্য তারা অপদ্রব্য পুশ করেন। তারা আরও বলেন মাছের ডিপো মালিকরা যদি পুশ মাছ নেওয়া বন্ধ করেন, তাহলে বাগদা চিংড়িতে পুশ করা বন্ধ করতে সব ব্যবসায়ীরা বাধ্য হবে। তাছাড়া থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে তাদের বাগদা পুশের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান বলেন উপজেলার সকল অবৈধ বাগদা পুশ ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে অতিদ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।