ন্যাশনাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় চার সচিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ রুল জারি করা হয়।
একই সঙ্গে ওই পিআইওর স্থলে নতুন করে একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিও স্থগিত করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই আটজন হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর এম কামরুজ্জামান কাকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে এ বি এম আলতাফ হোসেন জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পিআইও সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরিতে নিয়োগ পান। পরে যাচাই-বাছাই শেষেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম বহাল থাকে। তবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে যে প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন, সেটি তাকে প্রদান করা হয়নি।
ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন আরও বলেন, এ অবস্থায় গত ৩১ মে স্বাভাবিকভাবে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই সিরাজুল ইসলাম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ মে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ রিটকারী সিরাজুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করে চাকরির মেয়াদ ৬০ থেকে ৬১ বছরে বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন।
আদালতের রায় সত্ত্বেও গত ৩০ মে ময়মনসিংহের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজুল ইসলামের স্থলে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার পিআইও মো. আ. বাসেদকে ১ জুন থেকে মুক্তাগাছার পিআইও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ কারণে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন সিরাজুল ইসলাম। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।