সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলায় ৩৫ হাজার প্রতিবন্ধী

By daily satkhira

June 05, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলায় প্রতিবন্ধী শিশু কিশোরের সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। কেবলমাত্র সদর উপজেলায় এই সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের অধিক। এছাড়া সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সব ধরনের প্রতিবন্ধীর সংখ্যা দেড় হাজারের কম নয়। মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী কল্যাণ বিষয়ক এক সভায় বেসরকারি জরিপে পাওয়া এই তথ্য জানান কর্মকর্তারা। তারা বলেন এসব প্রতিবন্ধীকে থেরাপি, প্রয়োজনীয় উপকরণ , চিকিৎসা , অর্থ সহায়তা এমনকি সার্জারির মাধ্যমেও সহায়তা করা হচ্ছে। ডিসঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন ( ডিআরআরএ) আয়োজিত সভায় আরও বলা হয় গত ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত এই ছয়মাসে জেলায় ২৩৫ জন নতুন প্রতিবন্ধীকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গড় ৭০ থেকে ৮০ জন ব্রেইন স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীকে থেরাপি সেবা দেওয়া হচ্ছে। সভায় আরও জানানো হয় জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী হওয়া ছাড়াও সাতক্ষীরা শহরে বেপরোয়াভাবে চলাচল করা যানবাহনের আঘাতে সুস্থ মানুষ শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছেন। এ প্রসঙ্গে বাল্য বিবাহরোধ এবং মা ও শিশুর পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তারা বলেন অন্যথায় জন্মগত প্রতিবন্ধীতা থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে শহরের পলাশপোলে ডিআরআরএ অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, ডিআরআরএর জেলা ম্যানেজার মো.আবুল হোসেন, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম রফিক , দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আমিনুর রহমান, প্রতিবন্ধী আবুল কাসেম, আঞ্জুয়ারা খাতুন , হালিমা খাতুন প্রমূখ। এ সময় কয়েকটি প্রতিবন্ধী পরিবার কিভাবে সেবা গ্রহন করছে তা তুলে ধরা হয়। সভায় সদ্য চক্ষু অপারেশন হওয়া হালিমা খাতুনের হাতে ১৫ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেওয়্ াহয়। সভায় জানানো হয় সরকারের সহায়তায় প্রতিবন্ধীদের জন্য একীভূত স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন প্রকল্প প্রতিবন্ধীদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলায় এই কার্যক্রম চলছে। অচিরেই উপজেলা পর্যায়ে এই সেবা ছড়িয়ে পড়বে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সভায় বলা হয় প্রতিবন্ধীদের কোনোভাবেই অবহেলা নয়, তাদেরকে পরম যতেœ স্বাস্থ্য সেবা দিলে তারাও এক একজন দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে উঠতে পারে।