কলারোয়া

মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে কলারোয়া ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছে মাদকসেবীরা!

By Daily Satkhira

June 07, 2018

কলারোয়া ডেস্ক: কলারোয়া উপজেলায় জোর গুঞ্জন চলছে সারাদেশে যখন মাকবিরোধী অভিযান চলছে এবং প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন এই অভিযান চলতে থাকবে তখন কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছে মাদকসেবীরা। উল্লেখ্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদরে অবিযোগ- ইদানীং সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের একের পর এক কমিটি হচ্ছে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে। কোন সম্মেলন ছাড়াই এসব কমিটি হচ্ছে ব্যক্তিগত পছন্দে-অপছন্দে। এরই ধারাবহিকতায় যেকোন মুহুর্তে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে গঠিত হতে পারে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। ইতিমধ্যেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীরা শুরু করেছেন দৌঁড়ঝাঁপ। তবে সভাপতি পদে এস এম আবু সাঈদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শাকিল খান জর্জ এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এস এম আবু সাঈদ এর বিরুদ্ধে মাদকসেবনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে মাদক সেবনের ভিডিও। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সে গত ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইউপি নির্বাচনেকলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার অন্যতম আসামি জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সম্পাদক রবিউল ইসলামের পক্ষে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যায়। এ সময় কলারোয়া উপজেলা চত্বরে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের সমর্থকসহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল আবু সাঈদ। এদিকে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন আগেই সাঈদ উপজেলার বিভিন্নস্থানে টাকা দিয়ে কমিটি নিয়ে আসার কথা বলেছেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাকিল খান জর্জ এর বিরুদ্ধেও মাদকসেবনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে এস এম আবু সাঈদ বলেন, আমি কোনো ধরনের মাদক সেবন করি না। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি রাজধানীর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ল’ ডিপার্টমেন্টের একজন ছাত্র। আমার আইডি নং M-21313227. মাদকসেবনরত অবস্থায় তার ছবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিন দলীয় প্রোগ্রাম শেষে খেয়েছিলাম। মূলত, বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করেছেন। এ বিষয়ে আমি এর আগেও সংবাদ সম্মেলন করেছি। নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে শাকিল খান জর্জ বলেন, একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। আমি কোনো ধরণের মাদক গ্রহণ করি না। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক একটি নাটক থেকে আমার মাদক সেবনের ছবি তুলেছে। বর্তমান সভাপতি ইমরান এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। তবে এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, সাঈদ এবং জর্জ এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের সব ধরণের প্রমাণ রয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি আনার জন্য জোর তদবির চলাচ্ছেন। এ অবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দেশব্যাপী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কিভাবে এই মাদকসেবীরা বংলাদেশ ছাত্রলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের দায়িত্ব পাচ্ছেন? এ ব্যাপারে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।