খেলা

একজন রশিদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো পুরো বাংলাদেশ দল!

By Daily Satkhira

June 08, 2018

খেলার খবর: শেষটা রাঙানো হলো না। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আফগানিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুঁইয়েছিল বাংলাদেশ। আজ মাহমুদ উল্লাহ-মুশফিকের ভায়রা-ভাই জুটিতে ৮৪ রান তুললেও শেষ রক্ষা আর হলো না। আফগানদের দেওয়া ১৪৬ রানের টার্গেটের জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রানেই থামল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ ১ রানে জিতে বাংলাদেশকে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দিল টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দেশটি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষ ওভারের নায়ক সেই রশিদ খান। আর শেষ বলে বাউন্ডারি বাঁচিয়ে মহানায়ক হয়ে গেলেন শফিকুল্লাহ শফিক।

আফগানদের দেওয়া ১৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই টালমাটাল হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৬ রানে মুজিব উর রহমানের বলে ক্যাচ দেন তামিম (৫)। এরপর দুটি রান-আউটর শিকার হয় বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার (১৫) আর লিটন দাস (১২) অপ্রয়োজনীয় রান নিতে গিয়ে স্রেফ আত্মহত্যা করেন! দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য ১৩ রানই নিয়েছেন মুজিবের ওভার থেকে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের এতটাই তাড়া ছিল যে, ১০ রান করেই করিম জানাতের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন।

দলের করুণ অবস্থায় হাল ধরেন দুই ভায়রা ভাই মাহমুদ উল্লাহ এবং মুশফিক। দ্রুতই উইকেটে সেট হয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন দুজন। জুটি ছাড়িয়ে যায় ৫০। উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ ওভারের প্রথম বলে রশিদের শিকার হন ৩৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৬ রান করা মুশফিক। ভাঙে ৮৪ রানের দুর্দান্ত জুটি। এরপর আরিফুলকে নিয়ে শেষের হিসাবটা মেলাতে পারেনননি মাহমুদ উল্লাহ। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান। আরিফুল হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু শফিকুল্লাহ শফিকের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ!

ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে আফগানিস্তান। টানা তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ এবং উসমান গনি। দুজনে মিলে গড়লেন ৫৫ রানের জুটি। এর মধ্যে প্রথম ওভারেই ১৮ রান দিয়েছেন মেহেদী মিরাজ। শেষ পর্যন্ত নাজমুল অপুর বলে শাহজাদ (২৬) এলবিডাব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি।

নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান আবু জায়েদ। অপর ওপেনার উসমান গনি (১৯ তার বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুশফিকের গ্লাভসে। দলীয় ৯৫ রানে আরিফুল হকের বলে ফিরেন অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাই। মোহাম্মদ নবীকে (৩) মাহমুদ উল্লাহর তালুবন্দি করে দ্বিতীয় শিকার ধরেন আবু জায়েদ।

এরপর সাকিবের শিকার হন নাজিবুল্লাহ জারদান (১৫)। জারদানকে মাহমুদ উল্লাহর ক্যাচে পরিণত করে ৫০০ আন্তর্জাতিক উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। শেষ ওভারে শফিকুল্লাহকে (৪) নাজমুল ইসলাম দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করলে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে থামে আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।