খেলার খবর: ব্রাজিলের মাঠে গড়ানো গত বিশ্বকাপের ফাইনালে গোলশূন্য ৯০ মিনিট পার করে সমতায় থেকেই অতিরিক্ত সময়ে গিয়েছিল লিওনেল মেসির দল। কিন্তু সেখানেই নীল-আকাশি শিবিরের স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়ে শিরোপা জেতে জার্মানি। ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো জানালেন, ২০১৪ বিশ্বকাপের দুঃখটা রাশিয়ার মাঠেই ভুলতে চান তাঁরা।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে উঠেছিলেন রোহোরা। মারাকানার ফাইনালও যাচ্ছিল সেই পেনাল্টি শুটআউটের দিকেই। তবে ম্যাচের ১১৩ মিনিটে মারিও গোটজের গোল স্তব্ধ করে দেয় মেসিদের। ২৮ বছর পরও আর্জেন্টিনা নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিততে না পারলেও দুই যুগ পর জার্মানরা জিতে নেয় তাদের ইতিহাসের চতুর্থ শিরোপা।
এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ যখন মাঠে গড়াবে, আর্জেন্টিনার শিরোপার অপেক্ষা বেড়ে দাঁড়াবে ৩২ বছরে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিশিয়াল পত্রিকা ‘ইনসাইড ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়ে কথা বলেছেন রোহো। ইংলিশ ক্লাবটির এই ডিফেন্ডার চান ব্রাজিলের সেই বেদনাকে দাফন করে রাশিয়ার মাঠে আনন্দে ভাসতে, ‘আর্জেন্টিনার জার্সি পরে মাঠে নামলে আমরা সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। গত বিশ্বকাপের আক্ষেপ আমরা রাশিয়ায় ঘোচাতে চাই। ভক্ত-সমর্থকদের শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসাতে যা কিছু করা দরকার, তার সবই করব আমরা।’
‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা লড়বে ক্রোয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম পর্বের লড়াইয়ের আগে দল নিয়ে বেশ আশাবাদী রোহো। সুপার ঈগলসদের সঙ্গে বেশ কয়েকবারই বিশ্বকাপের মঞ্চে লড়েছে আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়া ও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পা রাখা আইসল্যান্ডও যে সহজ প্রতিপক্ষ হবে না, তা ভালোই জানা আছে রোহোর।
অবশ্য দলের মূল তারকা মেসিতে ভরসা পাচ্ছেন এই ডিফেন্ডার। রোহোর ভাষ্যে, ‘এই নিয়ে বোধ হয় তিন-চারবার নাইজেরিয়া আর আমরা একই গ্রুপে পড়লাম। গ্রুপটাও বেশ কঠিন। ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ডও ছেড়ে কথা বলবে না। তবে মেসিকে নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী, আশা করছি সে দলের জন্য দারুণ কিছু করবে।’
গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তরুণ রোহো। সেই নৈপুণ্যের সুবাদেই পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন থেকে সোজা ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। যদিও শেষ মৌসুমটা চোটের কারণে বলা চলে মাঠের বাইরেই কাটিয়েছেন রোহো।