আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার। এই চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি। এ কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশে শরনার্থী রোহিঙ্গারা। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মিয়ানমারের সেনা শাসিত সরকার ১৯৮০’ র দশকে এক আইনের বলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করছেন রোহিঙ্গারা। তবুও তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে চিহ্নিত করে চালানো হয় সেনা প্রচারণা। সুপরিকল্পিতভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিদ্বেষী মনোভাব গড়ে তোলা হয়। সর্বশেষ গত বছর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে সহিংসতা জোরালো করে। এর ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর গত বুধবার জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে মিয়ানমার। তবে, ওই চুক্তিতে নাগরিকত্বের প্রশ্নের মীমাংসা না হওয়ায় বহু বছর ধরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের মিথ্যা আশ্বাস পেয়ে আসা রোহিঙ্গারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের তৈয়ব আলী বলেছেন, প্রথমে রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে পারে ইয়াঙ্গুন সরকার। যখন আমরা দেখে শুনে নিশ্চিত হবো, তারা নাগরিক অধিকার অধিকার উপভোগ করছে তখন আমরা ফিরে যাবো।
শরণার্থী শিবিরের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা সত্যিকার অর্থে কোনো চুক্তিতেই খুশি হতে পারছেন না যতক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জটিল আলোচনার ক্ষেত্রে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম পদক্ষেপ।