নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের টাইপিস্ট এ.কে.এম সাহিদুজ্জামানকে কথিক একলাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আটক করেছে দুদক। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদ থেকে এক লাখ টাকাসহ তাকে আটক করা হয়। এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এঘটনাকে সাজানো নাটক এবং জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুব ও তার ছেলে মেহেদীর ষড়যন্ত্রের শিকার সাহিদুজ্জামান বলে দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রুপিংয়ের কারনে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সাঁটলিপিকার সাহিদুজ্জামান। যার কারনে খন্ডিত ছুটিতে থাকা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবর রহমানের ছেলে মেহেদি হাসান ও তার নিকট আত্মীয় ধুলিহার এলাকার হাসান হাদীর সহায়তায় দুদক এই অভিযান পরিচালনা করে। গাড়িতে থানায় নেয়ার আগে মেহেদি হাসান ও হাসান হাদী সাহিদুজ্জামানকে মারপিট করে। উক্ত অভিযানের সময় জেলা পরিষদের কোন সদস্য সাহিদুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে দেখেননি। এমনকি টাকা দেখতে চাইলেও সেই মূহুর্ত্বে তারা দেখাতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাঁটলিপিকার সাহিদুজ্জামান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবর রহমানের ষড়যন্ত্রের শিকার। সম্পূর্ন পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে দুদক কর্মকর্তাদের দিয়ে তাকে ফাসিয়ে দেয়া হয়েছে। কথিত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সাহিদুজ্জামান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাঁটলিপিকার। গত কিছুদিন যাবৎ প্রধান নির্বাহীর পদটি শুন্য থাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উক্ত পদে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে শুধুমাত্র বেতন ভাতা ছাড়া অন্য কোন বিলে স্বাক্ষর করেন না। তাছাড়া বর্তমানে জেলা পরিষদের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমেই বরাদ্দ হয়ে থাকে। ফলে কোন কর্মচারীর পক্ষে কোন ধরনের বৈধ-অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। এছাড়া জেলা পরিষদের বরাদ্দের তালিকায় দেবনগর রোকেয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের নাম নেই। সংবাদ সম্মেলনে সাঁটলিপিকার এ.কে.এম. সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার পূর্বক তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, মোঃ আব্দুল হাকিম, মহিতুর ইসলাম, কাজি নজরুল ইসলাম হিল্লোল, মনিরুল ইসলাম, মাহফুজা সুলতানা রুবি, রোজিনা পারভীন প্রমূখ। এদিকে দুদকের সহকারি পরিচালক মহাতাব উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁটলিপিকার এ.কে.এম. সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৫। পুলিশ গ্রেফতারকৃত সাহিদুজ্জামানকে বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
১২.০৬.১৮