সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় সুন্দরবন কুরিয়ারে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

By daily satkhira

June 14, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার সুন্দরন কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড এর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অশালিন আচারনে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানায়, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সাতক্ষীরা অফিসে বিভিন্ন গ্রাহকের ডকুমেন্ট পার্সেল যথাসময়ে পৌছানোর জন্য সাধারণ সার্ভিস,জরুরি অতি জরুরিসহ বিভিন্ন সার্ভিস চালু রয়েছে। সেখানে গ্রাহকদের জরুরি, অতি জরুরি সার্ভিসের কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহন করে সাধারণ সার্ভিসের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এদিকে অপর দিক থেকে আসা চিঠি বা ডকুমেন্ট, পার্সেল পাওয়ার পর মোবাইল করে জানানোর নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছে না। আবার গ্রাহকরা যোগাযোগ করলেও তাদের কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে বা সহযোগিতা না করে কর্মকর্তারা অশালীন আচারণ করছেন। শহরের সুলতানপুর এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তার একটি ডকুমেন্ট সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকার বারিধারা অফিস থেকে গত ১১জুন বুকিং করা হয়। যা এক দিনের মধ্যে পৌছানোর কথা বলে জরুরি পৌছানোর জন্য একটি হলুদ পলিব্যাগে দিয়ে বাড়তি টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু ডকুমেন্টটি সাতক্ষীরা অফিসে পৌছানোর পর তাকে কোন ভাবে মোবাইল করা হয়নি। পরে গত ১২জুন সন্ধ্যায় জরুরি ডকুমেন্টটি নিতে সে সাতক্ষীরা অফিসে গেলে তারা বলে জানেন না ফেরিঘাটে জ্যাম যান কাল সকালে আসবেন। পরদিন ১৩জুন সকালে ১০টার দিকে অফিসে গেলে একটি ঝাপি টেবিলের উপরে দিয়ে বলে এখন থেকে খুজে নেন আপনার ডকুমেন্ট আমাদের খোজার সময় নেই। ঝাপিতে ডকুমেন্টটি না পাওয়ায় চলে আসে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় পুনরায় অফিসে গেলে সাতক্ষীরা অফিসের কাউন্টারের কর্মকর্তার সাথে ডকুমেন্টটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারবার ঝামেলা করছেন কেন। যেখান থেকে পাঠিয়েছেন সেখানে খোজ নেন। বুকিং এর পরে তারা না পাঠালে আমরা কি করবো। এসময় মামুন বারিধারা অফিসের মোবাইল নম্বর চাইলে বলে আমাদের কাছে মোবাইল নম্বর নেই, যান বলে তিনি কাউন্টার থেকে উঠে ভিতরে চলে যান। উপরে না দেখে সে ডকুমেন্ট এর জন্য বারিধারা অফিসের মোবাইল সংগ্রহ করে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে দিন বুকিং করা হয়েছে সে দিন আমরা ডকুমেন্টটি পাঠিয়েছে এরপর মামুন কুরিয়ার নং ৩০৫৪৪৪৬৪ নিয়ে এক কর্মকর্তার কাছে গিয়ে বলেন, ভাই আমার ডকুমেন্টটি জরুরি এই নম্বর নিয়ে আপনি একটি খোজ নেন। সে কর্মকর্তা বলে আমরা খোজ নেওয়ার সময় নেই। পরে রাত সাতে ৯টার দিকে তাকে ডকে ডকুমেন্টটি দেয়া হয়। এব্যাপারে উক্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ভাবে মিসটেক হয়েছে।