নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টাকারিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিবপুর ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন পরিষদ এর আয়োজেন অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি সদস্য যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মন্দিরন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য ও জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, জেলা মন্দির সমিতির সহসম্পাদক বিকাশ দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, সদস্য বাসুদেব সিংহ, অসীম দাস সোনা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, পুজা উদযাপন পরিষদের সদর শাখার সহসভাপতি প্রসাদ মজুমদার, সহ-সভাপতি গোপাল ঘোষাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস আচার্য, শিবপুর ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ব্যানার্জী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিরন্ময় মণ্ডল, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, সুদাম বিশ্বাস প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শিবপুর ইউপি সদস্য মাদক ব্যবসায়ি খলিলুর রহমানের চিংড়ি ঘেরের পাশে ইউপি সদস্য মহাদেব সরকারের চিংড়ি ঘের রয়েছে। খলিলুর রহমান তার ঘেরের তিন পাশ বেড়িবাঁধ দিলেও এক পাশ খোলা রাখায় মহাদেব সরকারের সঙ্গে তার বিরোধ বাঁধে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিজের চিংড়ি ঘেরে কাজ করার সময় খলিলুর রহমান ও তার দলবল মহাদেব সরকারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে তার চলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মহাদেব সরকার বাদি হয়ে খলিল মেম্বরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়ি মসি করে। একপর্যায়ে খলিল মেম্বরের নাম এজাহার থেকে বাদ না দিলে মামলা রেকর্ড করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে হিন্দু সংগঠনের নেতৃবৃন্দের শক্ত অবস্থানের কারণে পুলিশ শুক্রবার রাতে মামলা নিয়ে খালেদা আক্তার ও বাপ্পি নামের দু’ আসামীকে গ্রেফতার করে। তবে মুল আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে বক্তারা অভিযোগ করেন। বক্তারা খলিলুর রহমানের মত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অবিলম্বে খলিল মেম্বরসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।