খেলার খবর: তাঁকে বলা হয় সাদা পেলে। ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার জিকো। ১৯৮২ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেই ধ্রুপদি ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা এই সাবেক তারকার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে আসার। তাঁর সঙ্গে আসতে পারেন ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের অন্যতম সেরা তারকা রোনালদিনহোও!
বাংলাদেশের ব্রাজিল-ভক্তরা উল্লসিতই হয়ে উঠবেন এই সংবাদে—ঢাকায় আসার সম্ভাবনা আছে ব্রাজিলীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা ‘সাদা পেলে’ জিকোর। ১৯৮২ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেই ধ্রুপদি ব্রাজিল দলের এই প্রাণভোমরা একা আসছেন না। সঙ্গে নিয়ে আসছেন আরেক বড় তারকা রোনালদিনহোকেও! আজ বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হোয়াও তাবারেজ ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরপর কিছুদিনের জন্য জিকোর তেমন ব্যস্ততা থাকবে না। বাংলাদেশে তিনি সে সময়ই আসতে পারেন, ‘জিকোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিশ্বকাপের পর কিছুদিন তাঁর ব্যস্ততা কিছুটা কম থাকবে। আমি তাঁকে বাংলাদেশে আসার কথা বলেছি। তিনি রাজি। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে রোনালদিনহোরও। তিনিও আসতে পারেন। আরও কয়েকজন তারকার সঙ্গে আমি কথা বলছি।’ বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিল দলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় রীতিমতো আপ্লুত তিনি। ব্যাপারটি স্বচক্ষে দেখে বেড়াচ্ছেন এক জেলা থেকে আরেক জেলায়। বিশ্বকাপ নিয়ে মানুষের উন্মাদনার চাক্ষুষ সাক্ষী হতে এসেছেন ব্রাজিলের ‘গ্লোবো’ টেলিভিশন চ্যানেলের তিন সাংবাদিক। তাঁদের আসা উপলক্ষেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ব্রাজিল দূতাবাস। প্রায় ২২ বছর ধরে বিখ্যাত টিভি চ্যানেলটিতে কাজ করছেন ক্লেটন। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবল–উন্মাদনা দেখে রীতিমতো বিস্মিত, ‘আমি বিশ্বের অনেক দেশে ঘুরেছি। বাংলাদেশের মতো এত ব্রাজিল–সমর্থক কোথাও দেখিনি। বাংলাদেশে এত পতাকা, এত ব্রাজিলের জার্সি দেখে মনে হয়েছে, আমি সাও পাওলো বা রিও ডি জেনিরোতে আছি।’ সূত্র: প্রথম আলো।