খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপ যত এগোচ্ছে তত নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে ব্রাজিল। আগের ম্যাচে যোগ করা সময়ের গোলে জেতা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার জিতল অনায়াসে। সার্বিয়াকে দুই অর্ধের দুই গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে গেল শেষ ষোলোতে।
অন্য ম্যাচে কোস্টা রিকার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার সুইজারল্যান্ড রানার্সআপ হিসেবে নকআউট পর্বে উঠেছে।
মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে শুরুতেই বড় একটা ধাক্কা খায় ব্রাজিল। চোট পেয়ে দশম মিনিটে মাঠ ছাড়েন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মার্সেলো। তার জায়গায় এবারের আসরে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন আতলেতিকো মাদ্রিদের ফিলিপে লুইস।
চোটের জন্য বিশ্বকাপেই নেই দানি আলভেস। প্রথম ম্যাচ খেলার পর চোটে পড়েন দানিলো। এবার মাঠের বাইরে চলে গেলেন মার্সেলো। রক্ষণ গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
গাব্রিয়েল জেসুস, ফিলিপে কৌতিনিয়ো আর নেইমার দ্রুত গতিতে আক্রমণে গিয়ে ভীতি ছড়ান সার্বিয়ার রক্ষণে।
জেসুস, নেইমারের কারিকুরিতে ২৫তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পায় ব্রাজিল। ডি-বক্স থেকে পিএসজি ফরোয়ার্ডের শট হাত বাড়িয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ভ্লাদিমির স্তয়কোভিচ।
৩৬তম মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন পাওলিনিয়ো। মাঝমাঠ থেকে বার্সেলোনা সতীর্থ ফিলিপে কৌতিনিয়োর বাড়ানো বল প্রথম স্পর্শেই আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার।
শুরু থেকে রক্ষণে মনোযোগ দেওয়া সার্বিয়া পিছিয়ে পড়ার পর একটু আক্রমণাত্মক খেলে। তবে ব্রাজিলের জমাটরক্ষণ ভেঙে আলিসনের পরীক্ষা নিতে পারেনি একবারের জন্যও। প্রথমার্ধে ম্লাদেন ক্রাস্তাইচের শিষ্যরা লক্ষ্যে রাখতে পারেনি কোনো শট।
৫৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ এসে যায় নেইমারের সামনে। কৌতিনিয়োর বাড়ানো বল যখন তাকে খুঁজে সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। নেইমারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্তয়কোভিচ।
পরের কয়েক মিনিট ব্রাজিলের রক্ষণকে ভীষণ চাপে রাখে সার্বিয়া। ৬১তম মিনিটে একটি ক্রস ঠিকমতো পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করতে পারেননি, বল পেয়ে যান আলেকসান্দার মিত্রোভিচ। এই ফরোয়ার্ডের হেড চিয়গো সিলভার হাঁটুতে লেগে ফিরে।
চার মিনিট পর আবার সুযোগ আসে মিত্রোভিচের সামনে। তবে আলিসন বরাবর হেড করে দলকে হতাশ করেন এই ফরোয়ার্ড।
৬৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিয়াগো সিলভা। পিএসজি সতীর্থ নেইমারের কর্নারে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এই ডিফেন্ডার।
৮৬তম মিনিটে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বাড়েনি ব্যবধান। সার্বিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লাগার পর বল পেয়ে যান নেইমার। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তুলে দিয়েছিলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। কিন্তু হাত বাড়িয়ে কোনোরকমে বলের নাগাল পেয়ে যান স্তয়কোভিচ। আরেকবার অল্পের জন্য গোল থেকে বঞ্চিত হন নেইমার।