নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুমোন দেয়া হয়েছে মেলার। শর্ত দেয়া আছে চালানো যাবে না কোন প্রকার নগ্ন নৃত্য, জুয়া বা লটারি। কিন্তু কে শোনে কার কথা? আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলছে বেআইনি লটারি নাম জুয়া। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর জমিদার বাড়ির মাঠে মাসব্যাপী ঈদ আনন্দ মেলার নামে বহুল বিতর্কিত সেই ‘ওঠাও বাচ্চা’ উল্লাস লটারির নামে চলছে রমরমা জুয়া আসর। এর আগেও বহুবার সাতক্ষীরা জেলা বিভিন্ন স্থানে কিছু নীতিহীন ব্যক্তি সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করতে এ ধরনের লটারি চালিয়েছিল। এর মধ্যে অনেকগুলোগেণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা জেলার মানুষ এসব উৎপাত থেকে মুক্ত থাকলেও হঠাৎ করে শ্যামনগরে আবার সেই রক্তচোষা লটারির মাধ্যমে গণলুণ্ঠন শুরু হয়েছে।
‘দৈনিক উল্লাস’ লাকী কুপন নামে প্রকাশ্যেই চলছে লটারি। প্রতিদিন সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত শত ইজিবাইক নিয়ে লটারি মালিকের কর্মচারীরা চলে যাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ইজি বাইকের পিছনে প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, টিভি, গরু, মটরসাইকেল ছবি দিয়ে টানানো হয়েছে রকমারি পুরস্কারের লোভনীয় ব্যানার। বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিটি টিকিটের মুল্য ২০ টাকা প্রচার দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে লটারির টিকিট। শ্যামনগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে লটারি। এবিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মান্নান আলী বলেন, অনুমতি নিয়ে মেলার আয়োজন করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ তবে মেলায় কোন লটারি হচ্ছে কি না তা আমার জানা নেই। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলছেন, ডিসি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে মেলা করা হচ্ছে। তবে লটারি বা জুয়ার কোন অনুমোদন নেই। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখার হোসেন বলছেন, মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তবে আজ মেলা শেষ হয়ে যাওয়া কথা। নির্দিষ্ট সময়ের পরে মেলা করা যাবে না। এছাড়া মেলার অনুমতি দেওয়ার সময় কোন লটারি বা জুয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাতক্ষীরায় এসকল কাজ করার কোন সুযোগ নেই। এধরনের কিছু ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।