বিদেশের খবর: দক্ষিণ সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর অবিরত বোমা হামলা থেকে বাঁচতে অনেক পথ দৌড়ানোর পর আয়মান আল হোমসি ও তার গর্ভবতী স্ত্রী দেখলেন, তাদের যাওয়ার আর কোনো পথ নেই।
জর্ডান সীমান্তের কাছে এক টুকরো জমিতে এসে তাদের থেমে যেতে হয়েছে। তাদের দৌড়ানোর পথ শেষ হয়ে গেছে।
দারাপ্রদেশের প্রান্তে শুকনা ঘাসে ঢাকা একটি মাঠে আয়মানসহ কয়েকটি পরিবার তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়েছে।
২৫ বছর বয়সী যুবক আয়মান বলেন, যদি একজন নারীকে এখন সন্তান জন্ম দিতে হয়, তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাব? এখানে তাকে সাহায্য করার কিছুই নেই।
তিনি বলেন, এখানে মৌলিক চাহিদা পূরণের মতো কিছুই নেই। এখানে কোনো পানি ও খাদ্য নেই। সূর্যের আলো থেকে বাঁচাতেও তাদের কোনো উপায় নেই।
জাতিসংঘ বলছে, জর্ডান সীমান্তের দারাপ্রদেশে গত দুই সপ্তাহ ধরে সরকারি বাহিনীর হামলায় দুই লাখ ৭০ হাজার উদ্বাস্তু হয়েছেন।
আয়মান বলেন, আমরা কেবল নারী ও শিশুদের ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু আর কিছু করার উপায় নেই।
এর আগে দেশটির মধ্যপ্রদেশ হৌমস থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল তাকে। প্রতিবেশী দেশ জর্ডানে আশ্রয় নিতে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিতে এখানে এসে থেমেছেন।
জর্ডান ইতিমধ্যে সাড়ে ছয় লাখ নিবন্ধিত শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে দ্বিগুণ হতে পারে।
২০১১ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ধরপাকড় থেকে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সাড়ে তিন লাখের বেশি সিরীয় অধিবাসী নিহত হন।
জর্ডানে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র মোহাম্মদ হাওয়ারি বলেন, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২ লাখে পৌঁছতে পারে বলে আমরা ধারণা করছিলাম। কিন্তু এ সংখ্যা এরই মধ্যে দুই লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।