দেশের খবর: ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিব বছর’ হিসেবে পালন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার, (৬ জুন ২০১৮) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথসভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি দলের পক্ষ থেকে ‘মুজিব বছর’ পালনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
২০২০ সালে পূর্ণ হবে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর এবং ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর।
জাঁকজমকভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হবে ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২০-২১ সাল ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালিত হবে। বছরব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে উদযাপিত হবে জন্মশত বার্ষিকী। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। বিভাগ জেলা ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।’
গত ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়। এরপর শুক্রবার প্রথমবারের মতো উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। এরপর অবৈধ ক্ষমতা দখল। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে দেশের এগিয়ে যাওয়া। উন্নয়ন স্তব্ধ। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি নিয়ে এখন উন্নতির পথে কাজ চলছে। উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান। স্যাটেলাইট মহাকাশে। উন্নতির পথে মানূষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা।’
অনেকে দেশের উন্নয়ন চায় না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের চোখে সরকারের উন্নয়ন ভালো লাগে না। তারা গরিব থাকবে তা দেখিয়ে বিদেশ থেকে টাকা আনবে। আবার কেউ দরিদ্রদের লোন দিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়বে। কিন্তু দেশের উন্নয়নে তাদের সুযোগ সীমিত হয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করছে মানুষ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, এর সাথে উন্নত-সমৃদ্ধশালী হবে। সরকার শোসিতের পক্ষে এখন কাজ করছে। দেশের একটা মানুষ ঘরহারা নেই।’