নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বেতনা বাঁচলে সাতক্ষীরা বাঁচবে’ এই স্লোগানকে ধারন করে বেতনা নদী বাঁচানোর দাবীতে সাতক্ষীরায় মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ‘সাতক্ষীরা বেতনা বাঁচাও আন্দোলন ও সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’ এর আয়োজনে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গনি, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’ এর আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, ওয়ার্কাসপার্টির নেতা স্বপন কুমার শীল, যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আশেক ই এলাহি, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আলি নুর খান বাবুল প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেতনা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এর চরে গড়ে উঠছে বাড়ি ঘর দোকান পাট ও বাজার ঘাট। এককালের খর¯্রােতা বেতনা এখন এক সরু খালে পরিণত হয়েছে। বেতনায় এখন আর নৌকা চলে না, বেতনায় জোয়ারভাটা খেলে না, বেতনা এখন পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়। এর দুই তীর দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ইটভাটা। বেতনায় আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষেও মেতে উঠেছেন প্রভাবশালীরা। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সব ধরনের সুবিধা নিয়ে দখলদারদের সহায়তা দিচ্ছে। ফলে বেতনা দিন দিন অকার্যকর হয়ে পড়ছে। ঝাউডাঙ্গা থেকে সুপারিঘাটা পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে খনন প্রয়োজন দাবি করে তারা আরা বলেন, এর আগে ২০১৫ সালে বেতনা খননের নামে লুটপাট করা হয়েছে। এতে বেতনা তীরের মানুষের এতোটুকু উপকার হয়নি উল্লেখ করে তারা বলেন, আমরা বেতনাকে দখলমুক্ত দেখতে চাই। বেতনা খনন চাই’। বেতনা রক্ষায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে তারা আরও বলেন, বেতনা সংলগ্ন ১২ টি বিলের পানি এই নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়। কিন্তু পলি জমে এই পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে ফি বছর এলাকা জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে থাকে। তারা আরও বলেন বেতনার ওপর তিনটি স্লুইস গেটের সবক’টি অকেজো হয়ে পড়েছে। তারা অবিলম্বে বেতনা খনন এবং বেতনা দখলমূক্ত করার দাবি জানান।