তরিকুল ইসলাম লাভলু: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জের একাংশ) আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির যেসব মনোয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আধুনিক সাতক্ষীরার রূপকার হিসেবে বিবেচিত সাতক্ষীরা-৩ আসনে সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক। এলাকাবাসী বলেন, রুহুল হক এমপি ২০০৮ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ৫ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তার প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয় হয়েছে। এর আগে অবহেলিত সাতক্ষীরার বুকে কেউ এমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাতে পারেননি। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের দোরগোড়ায় তার প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়েছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ। বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় কালিগঞ্জের নলতায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছেন। তিনি ঢাকাতে অবস্থান করলেও এলাকার নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকায় তাঁর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি পর পর দুই বার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে দেশের জন্য এমডিজি পুরষ্কারসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার বয়ে এনছেন। দেশের স্বাস্থ্য সেবা সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো করেছেন সক্রিয়। আজ সাধারণ মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। তাছাড়া তিনি দেবহাটা, আশাশুনি এবং কালিগঞ্জে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ, ২৬ টি সাইক্লোন শেল্টার, একাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্প, আশাশুনি ও দেবহাটায় ২ টি কলেজ ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংস্করণ, অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করণ, দেবহাটায় অত্যাধুনিক থানা ভবন নির্মান, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে দুইটি ১০ শষ্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মান, বড়দল সেতু, মানিকখালি সেতু, তেতুলিয়া সেতু, শোভনালী সেতু, বাশতলা সেতুসহ অসংখ্যা ব্রীজ-কালভার্ট তৈরিকরণ, সাতক্ষীরা বাইপাস ও আশাশুনি বাইপাস তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ দৃশ্যমান, যুব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থান করাসহ অসংখ্যা উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান। তাই আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাতক্ষীরা-৩ আসনের মানুষ আবারও রুহুল হক এমপিকে পেতে চায়। এ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উপচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও সাবেক সাংসদ মনসুর আহমেদ। এছাড়াও আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের পাশাপাশি সম্প্রতি দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন লে. কর্নেল জিএম জামায়েত আলী। সাধারণ ভোটাররা অবশ্য তাদের সুখ-দুঃখে দীর্ঘদিন ধরে ডাঃ রুহুল হক এমপিকেই কাছে পাচ্ছেন। বিএনপি’র প্রার্থীদের মধ্যে ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাঃ শহিদুল আলম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। জামাতের রবিউল বাশারও এই আসনে বিএনপি-জামাত জোটের মনোনয়ন পেতে গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলামও। আর জাতীয় পার্টি এরশাদের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন সাবেক এমপি অ্যাড. স. ম সালাউদ্দিন। তবে দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের রূপকার সাতক্ষীরা-৩ আসনে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ভোটাররা মনে করেন ডা. রুহুল হক এর আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিম-লে ব্যাপক পরিচিতি থাকায় তিনি এলাকার উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখতে পারেন, অন্যরা তা পারবেন না। তাই সাধারণ ভোটাররা তাকে আবারও এমপি হিসেবে পেয়ে সাতক্ষীরার উন্নয়ন অব্যাহত দেখতে চান।