এরপর তারা ওই হাসপাতাল ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন জানিয়ে দুর্জয় বলেন, “ভোর পৌনে ৬টার দিকে জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি, তিনি অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করছেন।
“একজন চিকিৎসক হয়ে তিনি বাবার সঙ্গে যা করেছেন সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি তুই তোকারি করেছেন, অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছেন, তার হাসপাতালের স্টাফদের ডেকেছেন আমাদের আটকে ফেলতে।”
ঘটনার বিবরণে দুর্জয় বলেন, “আমার বাবা চিকিৎসককে বলেন, এখানে তো সিট পাচ্ছি না, তাই চলে যাব। তখন বাবা ওই চিকিৎসককে আমার এক চিকিৎসক চাচার (বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের) কথা বলেন যে তাকে দেখাবেন।
“তখন ডাক্তার বলেন, ‘যান ওনার কাছে চলে যান, এইখানে কেন আসছেন? লাগবে না ছাড়পত্র, ওনার কাছে চলে যান।
“তখন বাবা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এভাবে কথা বলবেন না। কিন্তু এই কথাটা শুনেই যেন তিনি জ্বলে ওঠেন। বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তো কী হয়েছে?”
এ সময় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ হিসেবে তার ওই আচরণ সঙ্গত নয় বলে মন্তব্য করেন দুর্জয়। তিনি বলেন, “জনগণের ট্যাক্সের টাকায় লেখাপড়া করেছেন, এখন বেতনও পাচ্ছেন জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। তাই এই ধরনের আচরণ কারও সঙ্গেই ঠিক নয়।”
পাল্টায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চিকিৎসক, তার ওই সময়ের আচরণই উঠে এসেছে ফেইসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে।
এতে মুক্তিযোদ্ধার দিকে আঙুল উঁচিয়ে উচ্চ শব্দে চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, “আমি চাকর?”
জবাবে ফারুকুজ্জামান বলেন, “চাকর না তা কী?”
তখন তার গায়ে হাত দিয়ে একপাশে সরিয়ে দিতে দিতে চিকিৎসক বলেন, “যাহ”। এরপর সুর নামিয়ে বলেন, “ভাই এসব বইলেন না।”
পরেই আবার চিকিৎসককে তাকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “এই ছেলে করেছেন ফ্রিডম ফাইটার হয়ে? এই ছেলে করেছেন?”
তখন ফারুকুজ্জামান প্রশ্ন করেন, “কী ছেলে করেছি? আপনার সঙ্গে কী আচরণ করেছি?”
পাল্টায় চিকিৎসক বলেন, “যাহ ব্যাটা।” দুর্জয় জামান বলেন, “ওই চিকিৎসক এক পর্যায়ে স্টাফদের আমাদের আটকাতে বলে নিজে কক্ষের ভিতরে ঢুকে কিছু একটা নিয়ে আসেন বাবাকে মারতে। কিন্তু আমার স্ত্রী সব কিছু ভিডিও করছে দেখে তিনি থেমে যান।”