খেলার খবর: রক্ষণ অটুট রেখে ফ্রান্সের কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল। তাতে ওপেন প্লে’তে গোল এল না। ৯৮’র চ্যাম্পিয়নরা সাফল্য পেল ডিফেন্ডার উমিতিতির হেডে। পরিণামে মাঝমাঠের দখলে এগিয়ে থেকেও বেলজিয়ামকে দেখতে হল ০-১ গোলের হার। সেই সঙ্গে ভেঙে গেল প্রথমবার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন।
ফ্রান্স এদিন ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে মাঠে নামে। বেলজিয়াম খেলে ৩-৫-২ ফর্মেশনে।
ফ্রান্স প্রথম গোলে শট নেয় ১৮তম মিনিটে। মাতুইদির জোরালো শট রক্ষা করেন কোর্তোয়া। তারা গোলের দেখা পায় দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে।
১৯তম মিনিটে বেলজিয়ান অধিনায়ক হ্যাজার্ড বাঁদিক থেকে গোলে শট নেন। ভারানে কোনোমতে হেড দিয়ে বারের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন।
২২তম মিনিটে ফ্রান্সকে নির্ঘাত বিপদের হাত থেকে বাঁচান গোলরক্ষক হুগো লরিস। কর্নার থেকে আসা বল বক্সের ভেতর পেয়ে যান বেলজিয়াম ডিফেন্ডার টবি আল্ডারভাইরেল্ড। শরীর ঘুরিয়ে বা পায়ে জোরালো শট নেন। লরিস বলের দিক বুঝে ডাইভ দিয়ে বেরিয়ে দেন।
৩৯তম মিনিটে এমবাপে ডানদিক থেকে বক্সের ভেতর বল ছাড়েন বেঞ্জামিন প্যাভার্ডকে। তিনি দ্বিতীয় পোস্টে বল রাখেন। কোর্তোয়া কোনোমতে সেটি ঠেকিয়ে দেন।
ফ্রান্স এগিয়ে যায় ৫১তম মিনিটে। কর্নার পেলে শট নিতে এগিয়ে যান সেটপিচ বিশেষজ্ঞ গ্রিজম্যান। কাছের পোস্টে দারুণ একটি ক্রস পাঠান। মিডফিল্ডার মারুয়ান ফেলাইনিকে বিট করে অনেকটা লাফিয়ে হেড করেন ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমিতিতি। সেটি চোখের পলকে জালে জড়িয়ে যায়।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফ্রান্সের শেষ ছয়টি গোলের চারটি আসলো ডিফেন্ডারদের থেকে। ১৯৮২ সালে মারিউস ট্রেসর ওয়েস্ট জার্মানির বিপক্ষে গোল করেন। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বছর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দুই গোল করেন ডিফেন্ডার লিলিয়ান থুরাম।
গ্রিজম্যান এই নিয়ে পাঁচটি গোলে যুক্ত থাকলেন। তিনটি নিজে করেছেন। করিয়েছেন দুটি।
বেলজিয়াম এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল খেলল। প্রথমবার ১৯৮৬ আসরে। সেবার আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গিয়েছিল রেড ডেভিলরা। দুই গোল করে ম্যারাডোনা একাই হারিয়ে দেন তাদের।
এদিন গোল হজম করে বেলজিয়াম বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। অন্যদিকে ফ্রান্স নজর দেয় রক্ষণে। সেই রক্ষণ আর ভাঙা হয়নি লুকাকুদের।