আজকের সেরা

বাংলা শিক্ষকের হাতে মাতৃভাষার এমন বেহাল দশা!

By Daily Satkhira

November 29, 2016

এম বেলাল হোসাইন: তৃতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বাংলা প্রশ্নপত্র। তাও আবার জেলার সেরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। প্রশ্নের শুরুতেই স্কুলের নামের বানান ভুল! এর একে একে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, পটুয়া কামরুল হাসান থেকে মাটি ও মানুষের কবি বন্দে আলী মিয়াÑ এমন সব কৃতি বাঙালির নামের বানান নিয়ে যথেচ্ছাচার। প্রশ্ন জাগতেই পারে এই প্রশ্নপত্রটি কোন নূন্যতম লেখাপড়া জানা মানুষের করা কিনা! যে শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়নের জন্য এই পরীক্ষা, তাদের বানান জ্ঞান এবং মাতৃভাষার প্রতি দরদ নিঃসন্দেহে এর থেকে অনেক বেশি। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুলে ভরা প্রশ্নে(প্রশ্ন না বলে ব্যবহৃত টিস্যু বললে ভালো হত) অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩য় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। এঘটনায় অভিভাবকসহ সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৩য় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার ছিল ৩য় শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রশ্নের প্রায় অধিকাংশ বানান ভুল। যেমন সরকারি বানান লেখা হয়েছে ‘সরকারী’। হয়েছেনের স্থানে লেখা হয়েছেÑ ‘হয়ছন’, হাসানের স্থানে লেখা হয়েছে ‘হাসানর’ এধরনের অসংখ্য বানান ভুল। সাতক্ষীরার স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নে যদি অধিকাংশ বানান ভুল থাকে তাহলে কি শিখছে কচি কচি সোনামনিরা। বানান ভুলের পাশাপাশি প্রশ্নের শুরুতে যে অনুচ্ছেদটি তুলে দেয়া হয়েছে সেটির বাক্য গঠনও যাচ্ছে না তাই!

এধরনের ভুল বানানে পরীক্ষা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা কীভাবে ভবিষ্যতে পথ চলবে এটাই প্রশ্ন অভিভাবকদের। অথচ এই স্কুলে ভর্তি করার জন্য অভিভাবকদের পরিশ্রমের শেষ থাকে না। আদরের সন্তানদের জন্য তারা কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত দোকানে দোকানে(পড়–ন কোচিং সেন্টারে) নিয়ে ঘুরে বেড়ান। অথচ স্কুলের পড়াশোনার মান আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! প্রশ্নটি যে বা যিনিই করে থাকুন না কেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারেন না কোনভাবেই। বিদ্যালয়ে একাডেমিক সুপারভিশন বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না।

যদিও প্রতিমাসে অভিভাবকদের পকেট কেটে নেয়া মোটা অংকের কোচিং বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগির মনিটরিং বেশ কড়াভাবেই হয়ে থাকে স্কুলটিতে।