নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বিকেল চারটায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, রথযাত্রা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, জেলা মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি এ্যড. সোমনাথ ব্যানার্জী, পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম, প্রাণনাথ দাস, ডাঃ হরষিৎ চক্রবর্তী, নারায়ন অধিকারী, ধীরু ব্যানার্জী, নিত্যানন্দ আমিন, বিকাশ চন্দ্র দাশ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, জগতের কল্যানে জগন্নাথদেব ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পুরীতে প্রথম আবির্ভাব হয়। পুরীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন দারুব্রহ্ম বা নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের মুর্তি তৈরি করেন। স্বয়ং ব্রহ্মা এ মুর্তি তৈরিতে সহায়তা করেন। এরপর থেকে ভারত , বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উদযাপিত হয়ে আসছে। জগন্নাথদেব শুধু মাত্র একটি বিশেষ ধর্ম বা সম্প্রদায়ের জন্য নন, সকল ধর্মের কল্যানকর হিসেবে পুজিত হয়ে আসছেন। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে সকল ভেদাভেদ ভুলে মানব কল্যানকর কাজের বিকল্প নেই। এরপর জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরামকে রথে তোলার পর ফিতা কেটে রথের শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। শোভাযাত্রাটি পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো মায়ের বাড়িতে এসে শেষ হয়। এ র্যালিতে অংশ নেয় শহরতলীর বেজুয়ারডাঙি রথ। আগামি ২২ জুলাই উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে আগামি আট দিনে মন্দিরে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।