বিদেশের খবর: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেকে কুমন্ত্রণা দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভাঙার কুপথে টানছেন তেরেসাকে।
তিন দিনের সফরে ব্রিটেনে গিয়ে তিনি ইইউর বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করতে বললেন তেরেসাকে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেন-ইইউ ‘ডিভোর্স’ নিয়ে আসলে কি করা উচিত- তার মন্ত্রণা দেন ট্রাম্প। রোববার বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারের এ কথা ফাঁস করেছেন তেরেসা। তিনি বলেন, ট্রাম্পের উপদেশ ছিল, ইইউর সঙ্গে ব্রিটেন যেন কোনো আলোচনায় না যায়।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বিবিসির এক টকশোতে অংশ নেন তেরেসা। তাকে প্রশ্ন করা হয়, শুক্রবার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিট আলোচনার ব্যাপারে ট্রাম্প তাকে কি পরামর্শ দিয়েছিলেন।
উত্তরে তেরেসা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ইইউর বিরুদ্ধে আমার সরাসরি মামলা করে দেয়া উচিত’। ট্রাম্প আমাকে বলেন, ‘আপনি ইইউর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিন। তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবেন না। মামলা ঠুকে দিন’।
ট্রাম্পের এমন উপদেশে মুচকি হাসেন তেরেসা। তার এ হাসির অর্থ হচ্ছে, তার উপদেশকে তিনি অগ্রাহ্য করছেন। ট্রাম্পের উপদেশের জবাবে তিনি বলেন, ইইউর সঙ্গে আমরা আলোচনায় যাচ্ছি। ব্রেক্সিটে আলোচনার ব্যাপারে তেরেসাকে উপদেশের কথা ট্রাম্প স্বীকারও করেছেন। শুক্রবার দ্য সানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তেরেসাকে আমি একটা পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি এটাকে উপদেশ বলব না। কিন্তু তিনি আমার কথা অগ্রাহ্য করেছেন।
কিন্তু কি পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই সাক্ষাৎকারে তিনি তা স্পষ্ট করেননি। দুদিন পর সেটা ফাঁস করলেন তেরেসা। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা (বেক্সিট) তার জন্য খুব কঠিন একটা বিষয়। হ্যাঁ, কঠিনই। সে জন্যই তাকে একটা পরামর্শ দিয়েছিলাম, উপদেশ নয়।’ একই সাক্ষাৎকারে ব্রেক্সিট নিয়ে বোমা ফাটান তিনি। তিনি বলেন, ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলে ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নাও করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, যা তেরেসা বহুদিন ধরে স্বপ্ন দেখে আসছেন।
আদৌ ব্রেক্সিট হবে না : নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এমপিদের উদ্দেশে তেরেসা বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে তার পরিকল্পনাকে সমর্থন না করলে আদৌ কোনো ব্রেক্সিট হবে না। রোববার মেইল পত্রিকাতে এ বিষয়ে লেখা এক বিশেষ কলামে এ কথা বলেন তিনি। ওই কলামে তেরেসা লিখেছেন, ‘এ সপ্তাহে দেশের কাছে আমার বার্তা খুবই সাধারণ। কী পরিণাম হতে যাচ্ছে সেদিকে আমাদের চোখ রাখতে হবে। আমরা যদি একমত হতে না পারি, তাহলে ব্রেক্সিট না হওয়ার মতো ঝুঁকির মধ্যদিয়ে আলোচনা শেষ করতে হবে।’