স্বাস্থ্য

যে কারণে লেবু খাবেন

By Daily Satkhira

July 21, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: তীব্র গরমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে পারে এক গ্লাস লেবুর শরবত।এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুরিয়ে যায়।লেবু আমরা অনেকে খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কী লেবুর গুণাগুণ। লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ত্বক পরিষ্কারক, কিডনি পাথর, ওজন কমানোসহ বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার সমাধান করে থাকে। লেবুর কেন খাবেন?

লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার এবং এন্টিব্যাকটেরিয়া ও এন্টিভাইরাল উপাদান। ফলে মৌসুমি নানা সংক্রামক রোগে, যেমন ঠান্ডা, কাশি, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে লড়তে পারে লেবু।

আসুন জেনে নেই লেবু কেন খাবেন।

ক্ষত সারাতে

লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। হাড়, তরুনাস্থি ও টিস্যুর স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

লেবুর মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুস পরিষ্কার করে হাঁপানি সমস্যার উপশম করে।

হজমে সাহায্য করে

লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। বদহজম, বুক জ্বালার সমস্যাও সমাধান করে লেবু পানি। সেইসঙ্গে পরিপাক নালী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

ত্বক পরিষ্কারক

লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তাছাড়া লেবুর রস বয়সের বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর।

ওজন কমাতে

লেবুতে থাকা পেকটিন ফাইবার খিদে কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান। কিডনি পাথর

লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামক পাথর গঠনে বাধা দেয়। সাধারণ কিডনি পাথরগুলোর মধ্যে এটি একটি।

লিভার পরিষ্কার

লেবুতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড কোলন, পিত্তথলি ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ

ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লেবুর রস। তাই নিয়মিত ভাতের সঙ্গে লেবু খেতে পারেন। এত করে কাওয়ার রুচি বাড়বে।

মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে

যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।

ক্যানসার প্রতিরোধ

লেবু অনেক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার।