নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘ঠোলা’ উঠা ভোমরা সড়কে ‘গ্রাম বাংলা’র দাম্ভিকতায় প্রতিনিয়ত হয়রানী ও নাজেহাল হচ্ছেন যাতায়াতকারীরা।
ভারতের সাথে আন্তর্জান্তিক বন্দর ভোমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাতক্ষীরার আলিপুর চেকপোস্ট থেকে ভোমরা সড়কটি রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক, ব্যক্তিপর্যায় ও স্থানীয়ভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। আমদানি-রপ্তানির পন্যবাহী যানবাহন চলে দিনরাত। কিন্তু ওই সড়কের মাঝ বরাবর কয়েকটি ‘ঠোলা’ উঠা স্থানের কারণে প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা, বিড়ম্বনার শিকার হন পথচারীরা। এর সাথে যোগ হয়েছে ভোমরা টু সাতক্ষীরাগামি ইঞ্জিনচালিত ভটভটি- নাম যার ‘গ্রাম বাংলা’। গ্রামবাংলা দৌরত্ব আর পরিচালনাকারীদের দাম্ভিকতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহারে নাজেহাল ভুক্তভোগিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়- ভোমরা থেকে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের আলিপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত রাস্তায় কমপক্ষে ৮/১০টি স্থানে রাস্তার মাঝেই পিচ উচু হয়ে গেছে। পাকাপিচ এতটাই উচু কিংবা স্তুপাকারের সৃষ্টি হয়েছে যেনো সেটা রাস্তায় ঠোলা উঠার মতো। লম্বা ও বড় আকারে এ ঠোলার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারীরা যেমন সমস্যা পড়ছেন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত তেমনি অনিয়মিত যাতায়াতকারীও চলন্ত পথে রাস্তার উপর আকষ্মিক ছোট-বড় পিচের উচু স্তুপাকার অংশের কারণে দূর্ভোগে পড়ছেন। প্রায়-ই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনাও। অনেকদিন ধরে রাস্তার মাঝে বিরক্তিকর ও সমস্যা সম্বলিত ওই ‘ঠোলা’ জায়গা থাকলেও সংষ্কার কিংবা স্থানগুলো ঠিক করে দেয়ার জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি।
আবার ওই সড়কে যাত্রীবহনের কাজে নিয়োজিত গ্রাম বাংলা নামের ভটিভটি যেমন অনিরাপদ তার চেয়েও ভয়াবহ গ্রামবাংলা পরিচালনাকারীদের আচরণ ও ব্যবহার। সরেজমিনে দেখা গেছে- ভোমরা থেকে সাতক্ষীরা আসার সময় গ্রামবাংলার টানাহেচরায় যাত্রীরা নাজেহাল ও অপমানিত হন। অন্যত্র স্থান থেকে কেউ যদি মহেন্দ্র, ইজিবাইক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোসহ ইত্যাদি ব্যক্তিগত কিংবা ভাড়া গাড়ি নিয়ে ভোমরা যান তবে যাওয়া-আসার পথে গ্রামবাংলা সংশ্লিষ্টদের কাছে বাঁধা আর প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে কয়েক দফা। শুধু তাই নয়, তারা লাঠি উচিয়ে মারতে উদ্যতও হয়, কোন কোন সময় মারপিটের ঘটনাও ঘটে। এমনকি ওই সড়কের একাধিক স্থানে লাঠির মাথায় লাল পতাকা লাগিয়ে রীতিমত চেকিংএর ব্যবস্থাপনাও চোখে পড়বে।
অথচ সম্পূর্ণ অনৈতিক, বেআইনি, স্বেচ্ছাচারিতা আর নিজেদের বানানো নিয়মরূপ অনিয়ম বন্ধের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
সড়কের ঠোলা উঠা স্থানগুলো ঠিক করে দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের চরম দায়িত্বহীনতা, উদাসিনতা আর বিবেক বর্জিত নিরবতা কারোরই কাম্য নয়।
সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ভোমরা সড়কটি সংস্কার ও যাত্রী হয়রানী বন্ধের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।