জাতীয়

প্রাথমিক তদন্তে কয়লার ঘাটতি পেয়েছে দুদক

By Daily Satkhira

July 24, 2018

দেশের খবর: প্রাথমিক তদন্তে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনির ইয়ার্ডে কয়লার ঘাটতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত দল। সোমবার খনি পরির্দশন শেষে দিনাজপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদ একথা জানান। তিনি বলেন, কয়লার মজুদ সংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখলাম এক লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু ইয়ার্ডে মজুদ দেখলাম প্রায় দুই হাজার টন। সেখানে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লার ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তিনি। এরআগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে বেরিয়ে দুদক উপ-পরিচালক সাংবাদিকদের জানান, দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তারা এখানে এসেছেন এবং তদন্ত কাজ করছেন। এরআগে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে দুর্নীতির খবর অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এক মাসের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার। তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশ্বস্ত করেছে। সে থেকে আশা করা যাচ্ছে এক মাসের মধ্যে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যেতে পারবে। কয়লা সংকটের বিষয়টি খনি কর্তৃপক্ষ আগে জানালে রেশনিং পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতেন বলেও এই কর্মকর্তা জানান। ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বড় পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবীব উদ্দিন আহমদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে। খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লা ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন রোববার রাতে বন্ধ হয়ে গেছে। ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর বিভাগের আট জেলা বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়ায় বিকল্প পথ খুঁজছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।