নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রার্থী ৪ শীর্ষ নেতা একযোগে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবারও ঘোষণা দিলেন, তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে শেখ হাসিনার নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবেন। তারা আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন অসৎ, জনবিচ্ছিন্ন কোন প্রার্থীকে তিনি নৌকার মনোনয়ন দেবেন না। সেক্ষেত্রে নেত্রী যেকোন সৎ, কর্মীবান্ধব ও জনপ্রিয় প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আওয়ামীলীগের বিজয় সুনিশ্চিত। সাতক্ষীরা পৌর ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মীসম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। শনিবার বিকালে শহরের পুরাতন মাইক্রোস্ট্যান্ডে ওয়ার্ড যুবলীগের আয়োজনে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এসএম ইউসুফ সুলতান মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। উদ্বোধক ছিলেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব তুহিন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য সবুর খান, আ: মুজিদ, কুখরালী আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর মনোয়ার হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হিরন, ৭নং ওয়ার্ডে সাবেক সভাপতি ইলিয়াছ কবির, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেহেদী, ৭নং ওয়ার্ডের হাসিব সরকার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সদস্য এসকে বিপ্লবসহ আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এ নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় কিছু অতিথি পাখির আগমন ঘটে। যাদেরকে ১৯৭৫’র পর আর দেখা যায়নি। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে হঠাৎ জনগণের নেতা হয়ে যায়। এদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। যারা জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুলিশের চাকুরিতে নিয়োগ, দপ্তরীতে নিয়োগসহ বিভিন্ন চাকুরিতে নিয়োগ দিয়েছে তাদেরকে আর সাতক্ষীরার মানুষ দেখতে চায় না। যে ব্যক্তি ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামাত-শিবিরের তান্ডব শুরু হলে গোপনে সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে উঠেছিলেন সে কিভাবে সাতক্ষীরার আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের হৃদস্পন্দন বুঝবে? তাকে যেন আর সাতক্ষীরবাসীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া না হয়। বক্তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালে বিএনপি জামাত চক্র সাতক্ষীরা জেলাকে কলঙ্কিত করেছিল। যেটা সারা দেশবাসী জানে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দেশকে অশান্ত করে দিয়েছিল। গণতন্ত্রের কথা বলে কাছ কেটে, পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছিল শত শত মানুষ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অসংখ্য নেতাকর্মীর ঘরবাড়ি। এই বিএনপি জামাত কে আর বাংলার মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎসহ এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে জনবান্ধব নেতাদের সমর্থন করতে হবে। নির্বাচনে যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে।