দেশের খবর: দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সফল হতে পারেনি বলে মনে করেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হওয়া এ নির্বাচনগুলোকে কমিশনের জন্য বড় পরীক্ষা বলা হলেও সাংবিধানিক সংস্থাটি সে পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর পায়নি। রাজনৈতিক দলসহ জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে তারা। ফলে কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কতটা সফল হবে সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। তবে জাতীয় নির্বাচনে বিকল্প নেই মন্তব্য করে তারা বলছেন, এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন কীভাবে করা যায় কমিশনকে সেটা ভাবতে হবে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রথম বছর ভালোভাবে পার করলেও দ্বিতীয় বছরে এসে বিতর্কে জড়াতে শুরু করে। কমিশন প্রথম বছরে রোডম্যাপ ঘোষণা, রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ এবং কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সব মহলের প্রশংসা পায়। কিন্তু দায়িত্বের দ্বিতীয় বছরে এসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে কমিশন। এ সময় সরকারি দলের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার অভিযোগও উঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। প্রথম বছরের দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হলেও এ বছর অনুষ্ঠিত খুলনা, গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয় কমিশন। অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে রাজি নয় কমিশন। তাদের দাবি, তারা যেটা করেছে আইন ও বিধির মধ্যে থেকেই করেছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভালোর কাছাকাছি পৌঁছেছে। জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ইদানীং মনে হচ্ছে নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি যেন আমরা মেনেই নিয়েছি। এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ভালোই বলতে হবে। আর এই অনিয়মগুলো মেনে নিলেও এতগুলো কেন্দ্রের ভোট বন্ধ, একাধিক প্রার্থীর একযোগে নির্বাচন বর্জনে কোনোভাবেই বরিশাল সিটিকে ভালো বলার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা আমরা যেটা দেখছি নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ নেই। এটা ভালো হবে কিনা সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে। তারা সহযোগিতা না করলে ভোট ভালো হওয়ার সুযোগ নেই।’