স্বাস্থ্য কণিকা: বিশেষ করে মৌসুম বদলানোর সময় আমাদের শরীরেও কিছু পরিবর্তন ঘটে যায়। মূলত মৌসুম আবহাওয়া বদলের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক উষ্ণতার হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। ফলে কোন না কোনভাবে শরীরে এর প্রভাব পড়ে। দেখাযায় বাইরে তীব্র গরম আবার অফিসে এলেই পড়তে হয় এসির কনকনে ঠাণ্ডার মুখে। বর্ষার এই মৌসুমে আবার প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে আবার আচমকাই তীব্র গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে ঘাম আর বৃষ্টি মিলিয়ে হঠাৎ করে ব্যাপকভাবে সর্দিজ্বর, ঠাণ্ডালাগা, গলা ব্যথা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। আর একজনের এই রোগ হলে পরবর্তীতে তার থেকে অন্য ব্যক্তি- এভাবে রোগ একের থেকে অন্যে ছড়াতে থাকে।
রোগের লক্ষনঃ
* হঠাৎ করে নাকে ও গলায় সুড়সুড়ি লাগে, জ্বালা করে; * হাঁচি হয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরে, নাক বন্ধ হয়ে যায়; * গা ম্যাজ ম্যাজ ও ব্যথা করে, গলা ব্যথা করে, সামান্য জ্বর থাকতে পারে; * ব্যাকটেরিয়া দিয়ে ইনফেকশন হলে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, সাইনাসের ব্যথা, কানব্যথা, ফুসফুসের প্রদাহ হতে পারে; * কিছু জটিলতা যেমন- সাইনোসাইটিস, মধ্যকর্ণের প্রদাহ, ফুসফুসের প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যাটির ভুক্তভোগী হয়েছেন অনেকেই। জেনে নিন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী কী খেতে হবে।
গোলমরিচ আর মধুর মিশ্রণ দুই কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ অল্প থেঁতলে নেয়া গোলমরিচ দিয়ে ফোটান দশ মিনিট ধরে৷ তারপর এই জলটা ছেঁকে নিয়ে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন৷ কাশি কমবে, বুকে সর্দি বসবে না৷
লেবু আর আদার মিশ্রণ আধা ইঞ্চি মাপের আদা টুকরা করে কেটে নিন৷ সেটা গরম পানিতে ফোটাতে শুরু করুন৷ পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ছেঁকে নিন, তারপর একটা মাঝারি আকারের লেবুর রস আর এক বড় চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন৷
আদা-পুদিনা-মধু দিয়ে বানান নিজস্ব কাশির ওষুধ এক ইঞ্চি মাপের আদা স্লাইস করে নিন৷ এক মুঠো পুদিনাপাতা ভালো করে ধুয়ে নিন৷ এক বোতল পরিমাণ পানির সাথে আদা আর পুদিনাপাতা মিশিয়ে একসঙ্গে ফুটাতে শুরু করুন। এক কাপের মতো পরিমাণ হলে গ্যাস বন্ধ করে আধা কাপ মধু মিশিয়ে নিন। একটু গরম থাকতে থাকতেই পান করুন। পুরোটা একেবারে খাওয়ার দরকার নেই কিন্তু যখনই খাবেন, তখন একটু গরম করে নেবেন। এতে আপনার কফটা পাতলা হয়ে যাবে।
খেতে পারেন চিকেন স্যুপ চিকেন স্যুপ সর্দি-কাশির সমস্যায় খুব ভালো কাজে দেয়। গরম গরম চিকেন স্যুপ খেতেও ভালো লাগে আবার তা পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
প্রচুর ফল আর দই দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজমশক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে বাড়ায় প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপেল, লেবু, বাতাবিলেবু, আপেল সিডার ভিনেগার, কাঁচামরিচ রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এই ফলগুলোতে থাকা ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, আপনি তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
গরম পানি দিয়ে কুলি করুন গরম পানিতে সামান্য লবণ আর হলুদ দিয়ে কুলি করুন। কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল পানিতে মিশিয়ে নাক দিয়ে ধোঁয়া টেনে নিন। ধোঁয়া টেনে নেয়ার সময় মাথার উপর থেকে তোয়ালে দিয়ে নেবেন। এতে কফ তাড়াতাড়ি পাতলা হয়ে যাবে।